বাংলা৭১নিউজ, টাঙ্গাইল: আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মদ হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
এ সময় অসামিদের অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়। আদালতের নির্দেশে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে।
এর আগে গত ১৭ মে টাঙ্গাইল সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন। একইসঙ্গে সব আসামির অস্থাবর মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়ছে।
এই হত্যার মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এমপি রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, এমপিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁন, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত টাঙ্গাইল সদরের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামিরা ১৭ মে হাজির না হওয়ায় আদালত এ হুলিয়া দেন। সেই সঙ্গে সব আসামিকে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি খান পরিবারের চার ভাইসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে চারজন জেলহাজতে রয়েছেন; তারা হলেন- আনিছুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, সমীর মিয়া ও ফরিদ আহমেদ।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তার ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (এমপির ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।
সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান।
শৌচাগার থেকে ফেরার পথে কবির হোসেন (এমপির ঘনিষ্ঠ) পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর এমপি আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর তার মরদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএইচ