রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

ফাইভ-জিতে ঢাকার যে এলাকা ও প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছরই দেশে পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভজি চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক শুরুতে রাজধানীর ২০০টি স্থানে পরীক্ষামূলক ফাইভজি সেবা চালু করবে।

প্রথম ধাপে ১ লাখ গ্রাহককে পাঁচটি সেবার আওতায় আনতে চায় টেলিটক। এ পরিষেবা দিতে আড়াই শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে অপারেটরটি।

প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, গণভবন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ঢাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ থানা ও বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকার গ্রাহক ফাইভজির আওতায় আসবে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট (১০০ এমবিপিএস) গতির ইন্টারনেট সেবা পাবে তারা।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি সুদান ও উগান্ডার মতো দেশের চেয়েও কম। ইন্টারনেটে গতির হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭ দেশের মধ্যে ১৩৫তম। বাংলাদেশের পেছনে আছে শুধু আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।

ইন্টারনেট অ্যাকসেস ও পারফরম্যান্স অ্যানালিসিস কোম্পানির তথ্য বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ডাউনলোডের গতি সেখানে ১৯৩ এমবিপিএসের বেশি। আর বাংলাদেশে এর গতি ১২.৪৮ এমবিপিএস। গ্রাহকদের এবার কমপক্ষে আট গুণ বেশি গতি দিতে চায় টেলিটক।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার  বলেন, ‘পরীক্ষামূলক ফাইভজি নেটওয়ার্কের জন্য প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরই ফাইভজির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। টেলিটক ফাইভজি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য শুরুতে ঢাকায় কিছু অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

‘এটি শেষ হলে সারা দেশের জন্য বড় প্রকল্প নেয়া হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব বলছে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। জুলাই শেষে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখে। এর মধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ডের গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখের কিছু বেশি।

টেলিটক বলছে, দেশের প্রায় ৫৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল সেবার আওতাভুক্ত। এদের মধ্যে ২৮ শতাংশ গ্রাহক স্মার্টফোনে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশ ও কিছু উন্নয়নশীল দেশে ফাইভজি সেবা চালু হয়েছে।

বাংলাদেশে এ প্রযুক্তি দেশব্যাপী চালুর আগে স্বল্প মাত্রায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা প্রয়োজন। এমন বাস্তবতায় রাষ্ট্রীয় মোবাইল কোম্পানি হিসেবে টেলিটক ঢাকার উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, রমনা ও শাহবাগের মতো কিছু এলাকায় সীমিত আকারে ২০০টি এজি বিটিএল স্থাপনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে।

‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় টেলিটকের নেটওয়ার্কে বাণিজ্যিকভাবে পরীক্ষামূলক পাঁচটি প্রযুক্তি চালুকরণ’ নামে এই প্রকল্পে খরচ হবে ২৫৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। এ বছর শুরু হয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

টেলিটকের প্রকল্প প্রস্তাব পেয়ে তা যাচাই-বাছাই করছে পরিকল্পনা কমিশন।

কমিশন বলছে, এ প্রকল্পে বিশদ কোনো সমীক্ষা হয়নি। ফাইভজি একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক কারিগরি প্রযুক্তি। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করার আগে ইন-হাউজ সমীক্ষার পরিবর্তে এ বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ ও কারিগরি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তৃতীয় কোনো পক্ষ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন।

ফাইভজির আগে শক্তিশালী ফোরজি সেবা দেয়া উচিত জানিয়ে কমিশন আরও বলছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে টেলিটকের ফোরজি সেবা শুরু হলেও এর কাভারেজের আওতায় এসেছে শুধু বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলো। এ ক্ষেত্রে ফাইভজি সেবা শুরু করার আগে ফোরজির কাভারেজ এরিয়া আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারণ হওয়া প্রয়োজন।

এ ছাড়া ফাইভজি প্রযুক্তিনির্ভর টেলিকম যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে গিয়ে কোনো জটিলতার সৃষ্টি হবে কি না, তা পরীক্ষা করাও দরকার।

কমিশন আরো বলছে, সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ফাইভজি প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারবে না। এটি ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ফাইভজি উপযোগী মোবাইল ডিভাইস থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার সুবিধাভোগীদের আনুমানিক কত শতাংশের কাছে ফাইভজি উপযোগী মোবাইল ডিভাইস আছে, সে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।

এর আগে গত মাসে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ বলেন, ‘ঢাকার অন্তত ২০০টি স্থানে ফাইভজি সেবা চালুর জন্য টেলিটকের একটি প্রকল্প প্রস্তাব আগস্ট মাসে আমরা পেয়েছি। আমরা সেটা যাচাই করছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় এ সেবা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com