বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির ফাঁসি কার্যকরের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ যেভাবে প্রস্তুত করা হয়, আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে মঞ্চ ঘিরে সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিকেলেই ফাঁসি কার্যকরের স্থান পরিদর্শন করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো কারাগারে আনা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে।
কারা সূত্রে এসব কথা জানা গেছে। সূত্র জানায়, ফাঁসির মঞ্চ এলাকায় ফ্লাড লাইট লাগানো হয়েছে। শামিয়ানা টানানো হয়েছে। ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত থাকেন সরকারের এমন কয়েকজন কর্মকর্তাও কারাগারে আছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ সাংবাদিকদের জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে সরকার প্রস্তুত রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া ছাড়া নিজামীর অন্য সব আইনিপ্রক্রিয়া শেষ হয়। সর্বোচ্চ আদালত ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সরকার ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। নিজামীকে ফাঁসি বহাল থাকার রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে নিজামীকে রাখা হয়েছে। আজ রাত পৌনে আটটার দিকে তিনটি মাইক্রোবাসে করে পরিবারের ২১ জন সদস্য কারাগারের ফটকে আসেন। এরপর তাঁরা ভেতরে ঢোকেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারাগারের আশপাশের সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। লোক চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কারাগারের আশপাশে যুদ্ধাপরাধের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অবস্থান করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য কারাগারের চারপাশে অবস্থান করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/সি