মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ শহরের নিম্নমধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণে ৩১৮৪ কোটি দেবে আইডিবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা সরকার ও রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে এরশাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি: জি এম কাদের

ফলাফলে ছেলেকে টপকে গেলেন মা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে
মা মলি রাণীকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে ছেলে মৃন্ময় কুমার কুণ্ডু

বাংলা৭১নিউজ, নাটোর: মা মলি রাণী (৩৭) ও ছেলে মৃন্ময় কুমার (১৬) একসঙ্গে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল, ছেলেকে টপকে গেছেন মা। মা পেয়েছেন জিপিএ–৪.৫৩, আর ছেলে পেয়েছে জিপিএ–৪.৪৩। মা-ছেলে পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে ভালো ফলের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমারের স্ত্রী মলি ও ছেলে মৃন্ময় একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।

মা বললেন, এই বয়সে ছেলের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভেবে খুব লজ্জা লাগছিল। তবে লেখাপড়া শেখার প্রবল আগ্রহ তাঁকে পরীক্ষায় অংশ নিতে উৎসাহ জোগায়। জানতে পেরে ছেলে ও স্বামী তাঁকে পরীক্ষায় অংশ নিতে বলে। এরপর তিনি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তাঁরা মা-ছেলে পাল্লা দিয়ে পড়াশোনা করতেন। পাস করে খুশি হলেও জিপিএ-৫ পেলে আরও খুশি হতেন বলে জানালেন। সামনে আরও পড়াশোনা করে অন্তত স্নাতক পাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।

ছেলে মৃন্ময় বলল, ফল মায়ের চেয়ে একটু খারাপ হয়েছে। তবে দুঃখ নেই। মায়ের ভালো ফলে সে খুশি। সামনের পরীক্ষায় মাকে টপকে যাওয়ার আশা প্রকাশ করল সে।

দেবব্রত কুমার বলেন, স্ত্রী ও ছেলে একসঙ্গে পাস করার খবরে তিনি আনন্দিত। খুশি ভাগাভাগি করতে তিনি তাঁর দোকানে আসা সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। স্ত্রী-সন্তান যত দিন চাইবে, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বল তিনি আশ্বাস দেন।

মা নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুরের অসিত কণ্ডুর মেয়ে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। পরে আর পড়ার সুযোগ হয়নি তাঁর। কোলে আসে দুটি সন্তান। ওরা পড়ালেখা শুরু করে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওদের পড়ান তিনি। বড় ছেলে মৃন্ময় যখন বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে কারিগরি শাখায় বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ট্রেডে নবম শ্রেণিতে ওঠে, মলির তখন নতুন করে পড়ার ইচ্ছা জাগে। তিনি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় ড্রেস মেকিং অ্যান্ড টেইলারিং ট্রেডে ভর্তি হন। এবার ভালো ফল করে চমকে দিলেন সবাইকে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com