বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর থেকে : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসন-৩ থেকে হেভিওয়েট ২ জনসহ ৫ জন প্রার্থী সংসদ নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির একক প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ৩ জন আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন সিনিয়র সাংবাদিক। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের নাম এই মুর্হুতে প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান। তারা আরো জানান, তপশিল ঘোষণা হওয়ার পরই মাঠে নামবেন তারা। এবং নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাবেন। তবে মূল লড়াই হবে আওয়ামীলীগের প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মধ্যে। ফরিদপুরের সাধারণ ভোটাররা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনটি হবে শেয়ানে শেয়ানে লড়াই।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ব্যাপক হারে ফরিদপুরে উন্নয়ন করলেও ঘরের মধ্যে রয়েছে আভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের আড়াল করে তিনি তার মত ফরিদপুরের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন বলে জানান প্রকৃত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা। এদিকে চৌধুরী কামাল ইববে ইউসুফের রয়েছে ৩০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য ও তিন বার মন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল মিমাংসা না করলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, মন্ত্রীর আশেপাশে এমন কিছু ব্যক্তিরা রয়েছেন তাদের কারণে আমরা মাননীয় মন্ত্রীর সাথে দেখা এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারি না। মন্ত্রী একজন ভালো মনের মানুষ।
অপর দিকে বিএনপিতেও রয়েছে আভ্যন্তরীন কোন্দল। এই কোন্দলের কারণে বিএনপি তিন চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে পড়েছে। এতে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফেরও নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক বেগ পেতে হবে। দুই দলের আভ্যন্তরীণ গ্রুপিং-এর কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস