বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, মধুখালী এই তিন উপজেলা মিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আসন ফরিদপুর-১। এ আসনে হেভীওয়েট তিন আওয়ামী লীগ নেতার পদচারণা অব্যহত রয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুর রহমান দোলন এ তিনজনই নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন নেতাকে গ্রহণ করবেন এ নিয়ে সাধারণ জনগণ ও ভোটাররা পড়েছে বিভ্রান্তিতে। যার যার মত নিজস্ব ব্যানারে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন এই তিন হেভী ওয়েট নেতা।
ঈদের আগে ইফতার মাহফিলগুলোতেও দেখা গেছে রাজনৈতিক বক্তব্য। প্রতিটি ইফতার মাহফিলে লোক জমায়েতের লড়াইও ছিল। নতুন মুখ আরিফুর রহমান দোলন আরো এক ধাপ এগিয়ে। তিনি এলাকায় দুস্থদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেছেন এবং রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন এবং বর্তমান সংসদ সদস্যের অপকর্ম তুলে ধরেছেন জনগণের মাঝে। আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ট কিছু নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও দোলন জানান।
কাজী সিরাজও সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় সাধারণ জনগণের সাথে তেমন একটি যোগাযোগ রাখেন নাই। একাধিকবার তিনি দল বদল করেছেন। একারণে জনগণের মাঝে তার বিশ্বাসযোগ্য শুণ্যের কোঠায়।
এলাকার সাধারণ জনগণ জানান, বর্তমান সাংসদ হাইব্রীড নেতাদের সাথেই শখ্যতা রাখেন বেশী সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা উপেক্ষিত। এবারে ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রহমান এমপি উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেন নাই। যা করেছেন তার জনগুরুত্বপূর্ন ছিল বিধায় সেগুলো করা হয়েছে। নামমাত্র যা উন্নয়ন করেছেন তা দিয়ে এবারের নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হতে পারবেন না। এ কারণেই অন্যান্য নেতারা মাঠে প্রবেশ করেছেন এবং তারা প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচনে এরা ভোটে দাঁড়ালে আমরা তাদেরই ভোট দিব। আব্দুর রহমান এমপিকে বর্তমানে ফেসবুকেই বেশী দেখা যায়, আমাদের সঙ্গে আর দেখা হয় না। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়াকওভার পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বিধায় তার আর জনগণের দরকার নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস