পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ফরিদপুরে আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হন। পরে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভাঙ্গা মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।
গোয়ালচামট মডেল মসজিদের সামনে গেলে পুলিশ প্রথমে তাদের বাধা দেয়। পরে সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল মারতে শুরু করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাল্টা ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল মারতে শুরু করে।
প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা মেডিকেল কলেজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানেও তাদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমারা নিরস্ত্র ছিলাম। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনে যাওয়ার সময় প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কের পাশে থাকা ইট-খোয়া দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করে। আ. লীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে কত রাউন্ড গুলি বা টিয়ারশেল নিক্ষেপ হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ