ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফরিদপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পদ্মার পানি। একইসঙ্গে বাড়ছে মধুমতি নদী এবং আড়িয়াল খাঁ ও কুমার নদের পানিও। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ার সঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
জেলার সদর উপজেলার ডিক্রিরচর, নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে কয়েকদিন আগেই। নতুন করে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বানের পানি প্রবেশ করে ৩৫ থেকে ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পাশাপাশি ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ধান ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই উঁচু রাস্তা এবং স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় ফরিদপুরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, পদ্মার পানি বাড়ায় ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই প্লাবিত হয়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, পদ্মার পানি এখন বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পদ্মাসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলোর ফসলি জমি ও বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করছে। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পদ্মার পানি বাড়ায় আভ্যন্তরীণ নদ-নদীতেও পানি বাড়ছে। এতে তীরবর্তী নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে কাজ করা হচ্ছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির বিষয়টি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। খোঁজখবর রাখতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোথাও জনমানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পানিবন্দি এলাকাগুলোতে সচেতনতায় মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের শুকনো খাবার ও আশ্রয়ের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ