বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজারের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ৯ পুলিশসহ ৫০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম মান্নান সিকদার। সে ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র।
স্থানীয়রা জানায়, গত ০৯ এপ্রিল আব্দুর রহমান নামের এক ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে ৫৫হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় সদরপুর থানায় মামলা হলে আসামীদের বিপক্ষে উকিল নিয়োজিত হন এ্যাডভোকেট মিঠু ফকির। মিঠু ফকির জামিনে বাঁধা দেয়ায় রোববার বিকালে উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এঘটনার জেরে সোমবার সকালে আসামী পক্ষের লোকজন সংগঠিত হয়ে কৃষ্ণপুর বাজারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি দোকানঘর ও বাজার সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতরা হলেন, সদরপুর থানার এসআই মো: আক্কাস আলী শেখ, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই সাইফুল ও মেহেদী হাসান, ফরিদপুর পুলিশ লাইনের এসআই লুৎফর, এএসআই জাকির ও দেলোয়ার, কনস্টেবল বিপ্লব ও আলামিন। হামলাকারীরা পুলিশের একটি পিকআপ ও দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ও র্যাব-৮-এর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা রবিবার বিকেল থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল ফকির জানান, আব্দুর রহমানের পক্ষে আদালতে এ্যাডভোকেট মিঠু ফকির আসামীদের বিরুদ্ধে জামিনের বিরোধীতা করায় সন্ত্রাসী গ্রুপটি এলাকায় ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস