বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের পৃথক সংঘর্র্ষে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতলে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় সংঘর্ষকারীরা একে অপরের প্রায় ৩০ টি বসত ঘর ও ১৫ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদ মাতুব্বর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম মোল্যার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাতে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে সালথা থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরদিন শনিবার সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবার শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী চলা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উভয় গ্রুপের প্রায় ৪০ জন ব্যক্তি আহত হয় । থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অপরের প্রায় ৩০ টি বসত বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার রাতে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন ও রামকান্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক কাদের মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের প্রায় ২৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা রামকান্তপুর বাজারের উভয় গ্রুপের প্রায় ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
কাদের মোল্যা বলেন, কামাল হোসেনের নামে আমি একটি মামলা করি। সেই আক্রোশে শুক্রবার সন্ধ্যার পর কামাল ও তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কামাল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্ধ্যার পর রামকান্তপুর বাজারে চা খাচ্ছিলাম। কাদেও মোল্যা ও তার সমর্থকদের পূর্ব পরিকল্পনায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমার লোকজন প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
থানা অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস