বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে একাদশ জাতীয় সংসদদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সবকটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল চরমে। বিপদগামীতে আছে সাধারণ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। অনেক নেতাকর্মীরা আছে আতংকের মধ্যে। ভোটাররা কে কখন কার সাথে কথা বলবে তা নিয়েও চিন্তা ভাবনা করতে হয়। কার সাথে কথা বললে কেন নেতা অখুশি হবে এ নিয়েই দু:চিন্তায় আছে দলীয় নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বেশী আতংকের মধ্যে রয়েছেন সালথা-নগরকান্দার নেতাকর্মীরা। ফরিদপুর সংসদীয় নির্বাচনী আসন ০১ এ সালথা-নগরকান্দায় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নির্বাচনী আসন। এ আসনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী ও শাহাদাব চৌধুরী লাবলু এই দুই ভাইয়ের গ্রুপিং-এর কারণে এলাকা থেকে বিতারিত হয়ে অনেকই ফরিদপুর শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এ পর্যন্ত সালথা, নগরকান্দায় প্রায় ১০ জন খুন হয়েছেন। দুই শতাধীক ঘরবাড়ি ভাংচুর হয়েছে। মামলা হয়েছে কয়েকশত। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকাবাসীসহ সাধারণ জনগণ।
সালথার বাসিন্দা সামসুর রহমান জানান, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই ছেলের ক্ষমতার লড়াইয়ে আমরা আজ নি:শ্ব। তিনি আরো বলেন, এদের নির্যাতন থেকে আমরা মুক্তি চাই। আমাদের নগরকান্দা সালথার সমস্যাগুলি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ উক্ত এলাকার আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাকর্মীরা অবগত থাকা সত্বেও আমাদের প্রতি কেউ সহানুভুতি দেখাননি।
অপরদিকে ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-৪ ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন-সদরপুর এ আসনেও দলীয় কোন্দলের কারণে নেতাকর্মীরাও দিশেহারা।
ফরিদপুর নির্বাচনী আসন-১ (আলফাডাঙ্গা, মধুখালী-বোয়ালমারী) আসনটিতে বর্তমান সাংসদ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি তার ক্ষমতাবলে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও দলের কিছু সুবিধাবাদী লোক তাকে অসাধু বানিয়ে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন উপজেলার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং তিনি যেন মনোনয়নপত্র না পান এ বিষয়েও একাধিক নেতাকর্মীরা যৌথ ভাবে মিছিল মিটিং করে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়গুলো মেনে নিতে পারছেন না আলফাডাঙ্গা, মধুখালী ও বোয়ালমারী আওয়ামীলীগের সাধারণ নেতাকর্র্মীরা। এ দলীয় কোন্দলের কারণে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান সাধারণ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস