বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এক প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগের আলামত সুস্পষ্ট হলেও সরকার তা মোকাবেলা করতে কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি। তাই এ মুহূর্তে সবাইকে পূর্ণ সতর্ক হতে হবে।
বিপর্যয় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব উপকূল অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিমান, তেল রিজার্ভার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নিরাপদ করার এখনই সময়।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা নিয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হচ্ছে ‘ফনি’।
‘আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের ঘোরতর আশঙ্কা- উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ার পরই ফনি বাঁক নিয়ে সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অঞ্চলের ওপর আঘাত হানবে ‘আইলা’র চেয়ে ভয়াল রূপ নিয়ে।’
রিজভী বলেন, যেকোনো বড় দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলায় ‘জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল’ আছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। উনি মিটিং না করেই বিদেশ চলে গেলেন। কোনো আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা নেই। উপকূলীয় জেলা পর্যায়ে জরুরি সভা নেই।
তিনি আরও বলেন, ফনি মোকাবেলায় তিন বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, কোস্টগার্ড, আনসার নিয়ে কোনো সভা করা হয়নি। উদ্ধারকাজে কোনো প্রস্তুতিই গ্রহণ করা হয়নি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, উদ্ধারকর্মী, উদ্ধার যান, খাবার, পানি- এসবের কোনো প্রস্তুতিই দেখা যাচ্ছে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সফলতার সঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছে। কিন্তু বিপদ দেখলে পালিয়ে যায়নি।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া ‘চার’ বার প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়ে দেশসেবা করেছেন। পুরো শাসন পিরিয়ডে জাতীয় দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তিনি তৎপর থাকতেন। মিটিংয়ের পর মিটিং, নির্দেশনা- এমনকি রাতভর সজাগও থেকে উদ্ধারকর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের মনিটরিং করতেন। ‘২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গেলেন চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে। এমন সময় খবর পেলেন জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার। সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এফ.এ