বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ময়মনসিংহ-৩ (গৌরিপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যু আওয়ামী লীগের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রয়াত সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (মজিবুর রহমান) শুধু একজন ডাক্তারই ছিলেন না, একজন সফল সমাজ সেবক ছিলেন। তার মত একজন নেতাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের বিরাট ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন মজিবুর রহমান অসুস্থ হওয়ার পর ঢাকায় আনার কথা ছিল, কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হননি। যে হাসপাতাল তিনি নিজ হাতে গড়েছেন, সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি, তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, ডাক্তার ছিলেন, মানবদরদী ছিলেন, তার নার্সিং হাউজে কোনো দরিদ্র লোক আসলে বিনামূল্যে চিকিৎসা করে দিতেন। এইজন্যই গৌরিপুর থেকে তিন তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। একেবারে মাটি ও মানুষের সাথে মিশে একাত্মা হয়ে কাজ করতেন। এটা একজন রাজনীতিবিদের জীবনে বড় অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের মেয়াদে আমি তাকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি অত্যান্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে কোনোদিন একটি কথাও বলতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, মজিবুর রহমান ফকির গতকাল (রোববার) সারাদিন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেই ছিলেন। এরকম একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদকে আমরা হারালাম।
মজিবুর রহমান ফকিরের নামে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শোক প্রস্তাবের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক স্বপন,খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, আনোয়ারুল আজীম আনার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম অংশ গ্রহণ করেন। পরে শোক প্রস্তাবটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এমএম