বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) পড়ার উপযোগী করে লেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সার্কুলার জারি করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র (পেসক্রিপশন) পড়ার উপযোগী বা বড় হাতের অক্ষরে বা ছাপা অক্ষরে লেখার বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সার্কুলার জারির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে এই সার্কুলার জারির বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রেসক্রিপশন পড়ার যোগ্য অক্ষর অথবা বড় হাতের অক্ষর অথবা ছাপা অক্ষর এই তিনটির যেকোনো একটি পদ্ধতিতে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে কেন সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং ওষুধের নাম জেনারিক টার্মে (প্রকৃত নাম) কেন লেখা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রার, বিএমএর মহাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র : ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি রিট করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত আজ এই আদেশ দেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস