শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

‘প্রয়োজন ছিল না’, সিএএ নিয়ে ক্ষোভ গোপন রাখলেন না শেখ হাসিনা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের দরকার ছিল না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবু ধাবিতে গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

নিম্নে এই প্রতিবেদনটি হবহু তুলে ধরা হলো:

এ রাজ্যে তথা দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) চালু হলে তার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। সেটা বুঝেও এত দিন সরাসরি এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী। এ বার মুখ খুলেও সাবধানী শেখ হাসিনা। সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও নিজের ক্ষোভ গোপন রাখলেন না তিনি। আবু ধাবিতে সংবাদ মাধ্যমকে হাসিনা বললেন, ‘‘এই আইনের প্রয়োজন ছিল না।’’ ভারত থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দিলেন আওয়ামী লিগ শীর্ষনেত্রী।

সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশ হয়েছে ১১ জানুয়ারি। তার পর এক মাসেরও বেশি সময়ের পরে ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। দিল্লিতে তিনি বলেছিলেন, সিএএ-এনআরিসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে একই সঙ্গে এও বলেছিলেন, ভারতে কোনও অস্থিরতা তৈরি হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য।

কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দেশে এত দিন এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। এ বার মুখ খুললেন সংযুক্তি আরব আমিরশাহি সফরে গিয়ে। সেখানে সংবাদ মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ ব্যাক্ত করে বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারিনি ভারত সরকার কেন এটা (সিএএ) করল। এর কোনও প্রয়োজনই ছিল না।’’ তবে এটা যে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ সেটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা হাসিনা।

অসম এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ এবং সম্প্রতি সিএএ পাশের জেরে ভারতে আসা বাংলাদেশিরা দলে দলে দেশে ফিরছেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আবার বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র প্রধানও দিল্লিতে এসে জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোট ৩০০ জন ধরা পড়েছেন। তাঁরা কাজের খোঁজে বা অন্য প্রয়োজনে ভারতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না।

হাসিনাকেও সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তাঁরই সরকারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেওয়া সরকারি তথ্য কার্যত অস্বীকার করে হাসিনা বলেন, বিপরীত অনুপ্রবেশের (ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া) কোনও নজির নেই। তবে ভারতের মধ্যেই বহু মানুষ নানা সমস্যায় ভুগছেন।’’

তবে একই সঙ্গে হাসিনা এ দিন বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই এটা মনে করে যে সিএএ-এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও সেটাই মনে করে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে আমার দিল্লি সফরের সময়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে সেই আশ্বাস দিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে নয়াদিল্লি-ঢাকা পারস্পারিক বোঝাপড়ার সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে।’’

গত বছরের অক্টোবরেও (তখনও নাগরিকত্ব বিল পাশ হয়নি) এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়েছিল। তখন হাসিনা মোদীকে বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এনআরসি তাঁদের কাছে ‘গভীর উদ্বেগের’।

তবে মোদী তখনও আশ্বস্ত করেছিলেন যে দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কিন্তু তার পরেও হাসিনার ক্ষোভ-উদ্বেগ যে পুরোপুরি মেটেনি, কার্যত সেই কথাই আরও এক বার তুলে ধরলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যদিও মোদীর আশ্বাসে তিনি আশ্বস্ত কি না, সে প্রশ্নে তিনি এ দিনও বলেন, ‘অবশ্যই’।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com