বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগের টানা ছয় ম্যাচে হারের স্মৃতি ছিল পাকিস্তানের। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কুলীন এ ওয়ানডে আসরে পাকিস্তান সর্বশেষ জয় দেখেছিল ২০০৯-এ ভারতের বিপক্ষে। তবে পাকিস্তানের এবারের সুযোগটা ছিল স্পষ্ট।
গতকাল এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১৯ রানে আটকে দেয় তারা। পরে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জয় কুড়ায় পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরো একবার আলোচনায় ওঠে বৃষ্টি। গতকাল পাকিস্তান ইনিংসের ২৭তম ওভার শেষে বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এ সময় ১১৯/৩ সংগ্রহ নিয়ে বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। পরে আর মাঠে গড়ায়নি খেলা। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে কমপক্ষে ২০ ওভার খেলা হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় না।
এবি ডি ভিলিয়ার্সের আউটটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রতীকী। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে প্রথম বলে উইকেট খোয়ান আইসিসি ওয়ানডে র্যা ঙ্কিংয়ের একনম্বর ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস শেষে মাত্র ২১৯ রানে আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২২১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেন ডি ভিলিয়ার্স। জবাবে ৭.২তম ওভারে দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান। প্রোটিয়া পেসার মরনে মরকেলের ডেলিভারিতে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৯ বলে ৩১ রান করেন পাকিস্তানের অভিষিক্ত ওপেনার ২৭ বছর বয়সী ফখর জামান । একই ওভারে উইকেট খোয়ান অপর ওপেনার আজহার আলী। আজহার ২২ বলে করেন ৯ রান । তবে তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। তবে ব্যক্তিগত ২৬ রানে হাফিজকে সাজঘরে ফেরান মরকেলই।
এসময় মরকেলের ফিগার দাঁড়ায় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে মিতব্যয়ী ৬.১-১-৯-৩এ। এতে ২৩.২তম ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ পৌঁছে ৯২/৩-এ। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ‘আনপেডিক্টেবল‘ তকমা পুরনো। গতকাল এর কার্যকারণটা আরো একবার পরিষ্কার করেন পাকিস্তানের বোলাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস হেরে বোলিংয়ে যায় পাকিস্তান। আর দলীয় ১১৮ রানে প্রোটিয়াদের শীর্ষ ৬ উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিন আফ্রিকাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন পাকিস্তানি বোলাররা।
আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে শেষ চার ওভারে ৭২ রান দেয় পাকিস্তান। গতকাল পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে ডেভিড মিলারের ১০৩ বলের হার না মানা ৭৫ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত দলীয় ২০০ রানের কোঠায় পৌঁছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুর চার ব্যাটসম্যানের সাকুল্যে সংগ্রহ ছিল ৭৫ রান। এমন ভোগান্তিতে দেখা যায়নি তাদের গত দুই বছরে। ২০১৫‘র জুলাইয়ে সর্বশেষ বাংালাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুর চার ব্যাটসম্যানের সাকুল্যে সংগ্রহ ছিল ৪৫।
গতকাল টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে শুরুটা খারাপ ছিল না প্রোটিয়াদের। ওপেনিং জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর বোর্ডে ৪০ রান জমা করেন হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক। তবে অল্প্ ব্যবধানে তিন উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পরে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হন প্রোটিয়া বাকি শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনফর্ম ওপেনার হাশিম আমলাকে সাজঘরে ফেরান ইমাদ ওয়াসিম। পাকিস্তানের বাঁ-হাতি এ স্পিনারের ডেলিভারিতে আমলা উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ১৬ রানে। আর ২৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৮/৬-এ। একে একে সাজঘরে ফেরেন হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ফাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনি ও ওয়েইন পারনেল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস