সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

প্রেমের টানে থাই-কন্যা বাংলাদেশে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০১৭
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে
নাটোরের তরুণ অনিক খান ও থাইল্যান্ডের মেয়ে সুপুত্তো ওম

বাংলা৭১নিউজ, নাটোর:ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়। অতপর দূরদেশে থেকেও পরস্পরের মধ্যে গড়ে উঠে গভীর ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার টানে থাইল্যান্ডের মেয়ে সুপুত্তো ওম বাংলাদেশের নাটোরে এসে পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করলেন।

থাইল্যান্ডে বহুবিবাহের চালু থাকা রীতি তার পচ্ছন্দ না হওয়ায় বিয়ে না করেই দিনের পর দিন অপেক্ষা করছিলেন ৩৬ বছরের বয়সের ওম।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বাংলাদেশের তরুণ অনিক খানের (২২) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ফেসবুকেই তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালবাসায় রূপ নেয়।

ভালোবাসার টানে ইতিমধ্যে কয়েকবার নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে ছুটে আসেন ওম। কিন্তু অনিকের পরিবার মেনে না নেয়ায় দু’জনের সম্পর্ক চূড়ান্ত রূপ নেয়নি।

তবে হাল ছাড়েননি সুপুত্তো ওম। অনিকের ভালোবাসার টানে থাইল্যান্ড থেকে এবারও ছুটে আসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পাত্রের পরিবার সম্মত হওয়ায় গতকাল বুধবার নাটোর আদালতে অনিকের সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হলেন এই থাই-কন্যা।

অনিক খানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ায় দারুন খুশি সুপুত্তো ওম। তিনি জানান, পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে ব্যাংকে চাকরি করতেন। এখন ফাস্টফুডের ব্যবসা করেন। দোকানে বসে ফেসবুক ঘাটাঘাঁটি করতে গিয়েই বাংলাদেশের তরুণ অনিক খানকে বন্ধুত্বের প্রস্তাব পাঠান। অনিক প্রস্তাব সমর্থন করলে তাদের মধ্যে চেনাজানা শুরু হয়। ফোনেও কথাবার্তা চলতে থাকে। এভাবেই তারা পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন।

ওম জানান, তার বাড়ি থাইল্যান্ডের চো-অম জেলার পিচচোবড়ি এলাকায়। বাবা উইছাই ও মা নট্টাফ্রন আলাদা থাকেন ভিন্ন ভিন্ন দেশে। বন্ধুবান্ধবরা সবাই বিয়ে করেছেন। তারা অনেকেই বহুবিবাহে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। এটা তার ভালো না লাগায় ৩৬ বছর ধরে অপেক্ষায় থেকেছেন বলে জানান।

অনিকের ভালোবাসার টানে গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাবা-মার অনুমতি নিয়ে দেশের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে অনিককে দেখে তার আরও ভালো লাগে। অনিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু অনিকের পরিবার আপত্তি করেন। তবে অনিক ও তার পরিবারের সদস্যদের আদর অপ্যায়নে তিনি মুগ্ধ হন। মাত্র পাঁচ দিনের ভিসা নিয়ে আসায় সেবার তিনি তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে যান।

এরপর মে মাসের প্রথমদিকে এই থাই-কন্যা আবারও অনিকের কাছে ছুটে আসেন। বিয়ে করার জন্য অনিকের পরিবারের সদস্যদের হাতে-পায়ে ধরেন। দিনের পর দিন কান্নাকাটি করেন। না খেয়ে অনশন পর্যন্ত করেছেন।

অবশেষে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র একদিন আগে বুধবার তারা ইসলাম ধর্মীয় ও হলফনামামুলে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

ওম জানান, তার বর্তমান নাম সুফিয়া খাতুন। তিনি বলেন, মানুষের জীবন একটা, জীবন সঙ্গীও হবে একটা; কিন্তু তাদের সমাজে তা নেই। তিনি বিশ্বাস করেন অনিক তার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়েই থাকবে। বলেন, তাকে (অনিক) পেয়ে আমি দারুণ খুশি।

অনিক খান জানান, তার বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায়। পড়ালেখা তেমন একটা করেননি। তবে ভাঙা ভাঙা ইংরেজি বলতে ও লিখতে পারেন। সেখানে তার একটা মুঠোফোন মেরামতের দোকান রয়েছে। দোকানে বসে অলস সময় কাটাতে গিয়ে ফেসবুকে ওমের সঙ্গে তর পরিচয় হয়। এরপর তাদের উভয়ের ফোনে সব সময় ইন্টারনেট সংযোগ থাকে। তারা ভিডিও কল করে দীর্ঘসময় কথা বলেন। এভাবেই তারা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেছেন।

অনিক বলেন, সুফিয়া এখন তার জীবনের একটি অংশ। ওর সঙ্গেই সারা জীবন থাকতে চান তিনি।

অনিকের বাবা আজাদ হোসেন বলেন, মেয়েটি খুবই ভাল। মাত্র ক’দিনে সে আমাদের আপন করে নিয়েছে। আমরা গরীব মানুষ, শিক্ষিত না কিন্তু তাতেও ওর কষ্ট নাই। আমাদের ছেড়ে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা ভেবে সে সারাক্ষণ মন খারাপ করেছিল। ওর জন্য এখন তাদেরও কষ্ট হচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/এন

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com