শেরপুরের সীমান্তে দুটি গাছে ও একটি বিদ্যালয় ভবনে চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। একটি বা দুটি নয়, মৌমাছিরা বেঁধেছে প্রায় ৩’শ টি চাক। আর এসব চাক দেখতে ভিড় করছেন পর্যটক ও স্থানীয় উৎসুক জনতা।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ ও মৌমাছিদের বিরক্ত না করে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে শ্রীবরদী উপজেলায় বিদ্যালয় ভবনটির মৌমাছির চাক, ব্যবস্থাপনা কমিটি বিক্রি করে দিয়েছে।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীর সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্র। এখানকার একটি শতবর্ষী গাছে ৭৫টি চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে অস্থায়ী ঘর বেঁধেছে লাখ লাখ মৌমাছি। অনেকটাই বিরল দৃশ্য।
আরেক জায়গায় শ্রীবরদীর কর্ণজোড়ায় সড়কের পাশে প্রায় ২শ ফুট উঁচু একটি চাপাকাঁঠাল গাছেও ১৫০টি চাক বেঁধেছে। শুধু তাই নয় আর একই উপজেলার বালিজুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবনে মৌমাছি চাক বেঁধেছে ৬৯টি। স্কুল বন্ধ থাকলেও এই মৌমাছির চাকগুলো মধু আহরণের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি বিক্রি করে দিয়েছে।
গাছ দুটির শাখা প্রশাখা জুড়ে শুধু মৌচাক আর মৌচাক। শ্রমিক মৌমাছিরা বুনো ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে চাকে এনে জমা করছে। তাই চাক ঘিরে আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে লাখ লাখ মৌমাছি। আর পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে ভোঁ ভোঁ শব্দ।
এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ। স্থানীয়রা বলেন, প্রতিবছরই মৌমাছির চাক হয়। বন বিভাগের নির্দেশনায় আমরা এই চাকগুলো পাহারা দেই।
এক পর্যটক জানালেন, এর আগে অন্য কোথাও একসঙ্গে এতোগুলো মৌচাক দেখেননি। এতোগুলো মৌচাকে আকর্ষণ বেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে।
এদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে পরামর্শের পাশাপাশি মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ ও মৌমাছিদের বিরক্ত না করে এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, চাকগুলো যাতে কেউ নষ্ট করতে না পারে তাই আমরা সবাইকে নিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করি।
প্রতি বছর শীতে দল বেঁধে মৌমাছিরা গজনী অবকাশ কেন্দ্র ও শ্রীবরদী উপজেলা কর্ণঝোড়া সড়কের পাশে চাপাকাঁঠাল গাছে বাসা বাঁধলেও এবার তা ভিন্ন। একটি গাছে এতোগুলো মৌচাক এর আগে দেখেননি স্থানীয়রা।
এসব মৌমাছি ডাচ জাতের বন মৌমাছি বলে পরিচিত। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে।
বাংলা৭১নিউজ/সর