ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশ পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে এক আদেশে অধিদপ্তরকে এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নিয়োগপত্র জারি করা হবে। সহকারী শিক্ষক পদে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের আজকের মধ্যেই নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আগামী ১২ মার্চ স্ব স্ব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তাদের যোগদান করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রেবেকা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়নের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে অন্যান্য ডকুমেন্টস জমা দিয়েছেন, তাদের অনুকূলে আজ নিয়োগপত্র জারি করা হবে। নিয়োগপ্রাপ্তদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ১২ মার্চের মধ্যে যোগদান করতে হবে।
প্রার্থীদের যথাযথভাবে পূরণ করা পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য জেলা পুলিশ সুপার (এসবি)/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে প্রেরণ ১৩ মার্চ এবং একই দিন পদায়ন আদেশ জারি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে, জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে (কারণ ও মতামতসহ) ২০ মার্চ তালিকা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
এর আগে সোমবার (৩ মার্চ) সকালে সহকারী শিক্ষক পদে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলেরও (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগে বাধা কেটে যায়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের পর থেকে নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে নানান কর্মসূচি পালন করেছেন।
অন্যদিকে রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস