বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইন অনুযায়ী মীর কাসেম আলী সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারবেন। যদি না চান তাহলে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
মীর কাসেম আলীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে আদালত তার ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতের রায়ে সরকার ও দেশের মানুষ সন্তুষ্ট। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের মানুষ স্বস্তিত্বে নিঃশ্বাস ফেলেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাপ হয়েছে। আমিও জন কেরির সঙ্গে আলাপ করেছি। জন কেরি বলেছেন, দেশে ফিরে তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন।’
রায় কার্যকরের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছাবে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ পাবেন মীর কাসেম আলী।
তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না, তা জানানোর জন্য সাত দিন সময় পাবেন। যদি আবেদন করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি আবেদন না করেন তাহলে রায়টি কার্যকর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার ছিল। রায়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি ও রায়ও কার্যকর করছি। ১৯৭১ সালে দেশের নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল এরা।
গত ২১ বছরে বিভিন্ন সরকারের আমলে তারা মাথা উঁচু করে ঘুরেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষ ধৈর্য দেখিয়েছে। এজন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কারণ তিনি তার অঙ্গীকার রেখেছেন। আজ জনগণ তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা পেয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বাংলাদেশ সফরের সময় মীর কাসেমের রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেছেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
বাংলা৭১নিউজ/আরএস