বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি ছিল বলেই এবারের বন্যায় কেউ না খেয়ে মরেনি। সরকারের সব দপ্তরের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই দুর্গত মানুষের কাছে খাদ্য, প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ত্রাণসামগ্রী যথাসময়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসসের।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি ভালো থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম রাখা সম্ভব হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গেই বসবাস করতে হবে। কাজেই সঠিক পরিকল্পনা থাকলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সীমিত রাখা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সে সময় দুর্যোগের খবর পর্যন্ত রাখার প্রয়োজন মনে করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রেখে জনগণের ভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তার জন্য সরকার খাদ্য আমদানি করছে। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা সেখান থেকে দুর্গত জনগণকে উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি করে কৃষকের জন্য দুর্ভোগ বয়ে আনলেও এটি সঙ্গে করে অনেক পলিমাটিও বয়ে আনে, যা জমির উর্বরতাশক্তি বাড়ায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৮ সালে এক দীর্ঘমেয়াদি বন্যা প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছিল। যেখানে দেশের ৭০ শতাংশ ভূখণ্ড পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল এবং অন্তত দুই কোটি মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তা অত্যন্ত সফলভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ এখন যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। জাতির পিতা বন্যা মোকাবিলায় ৪৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন আর এই সরকার ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তুলছে।
সভায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানেরা এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস