বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গতকাল মন্ত্রিসভায় নতুন সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার অনুমোদন বিষয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সোমবার মন্ত্রীসভায় উত্থাপিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ তে আমাদের মতের প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা এ আইনের উপর যে সাজেশন দিয়েছি তা গ্রহণ করা হয়নি। প্রথমেই আমার আপত্তি আইনটির শিরোনাম নিয়ে। আমরা বলেছিলাম সড়ক দুর্ঘটনা নিরসন করতে হলে সড়কের নিরাপত্তার কথা প্রথমে আসতে হবে। এজন্য আইনটির শিরোনাম চেয়েছিলাম ‘সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন’।’
‘কেননা, আমরা মনে করি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য চালক, মালিকের জেল জরিমানাতে সমাধান নয়। দুর্ঘটনার কারণ জানার পরে তা লাঘবে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, ত্রুটি সংশোধন ও চালককে দক্ষ করে গড়ে তোলা। আর এর জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা ও বাজেটের।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম ১০ বছর। হাই কোর্টের নির্দেশনা ছিল ৭ বছর। কিন্তু করা হয়েছে ৫ বছর। সর্চোচ্চ শাস্তির কথা বলা হলেও সর্বনিম্ন শাস্তির কথা বলা হয়নি। আর এতেই শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। এটাও পরিস্কার করতে হবে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণের জন্য যে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে সেখানে সরকার, চালক ও মালিকের প্রতিনিধি থাকলেই চলবে না। সেখানে থাকতে হবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রতিনিধিও।’
ইলিয়াস বলেন, ‘আমি বলব যে আইনই প্রণীত হোক তার যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে শক্তিশালী মনিটরিং টীম থাকতে হবে। যে টিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন হবে। থাকবে সড়ক, নৌ, রেল, বিমান, স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা, অর্থ, আইন এবং সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রতিনিধি। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিনিধি থাকতে হবে।’
কাঞ্চন বলেন, ‘এক কথায় আমি বলব এ আইন বাস্তবমুখী ও কার্যকর করতে হলে সংশোধন ও সকল মহলের পরামর্শ গ্রহণ জরুরী। এ ব্যাপারে আশা করি সরকার স্বদিচ্ছার পরিচয় দিবেন।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৬ আগস্ট ২০১৮) বিকালে নিরাপদ সড়ক চাই ( নিসচা) এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নিসচার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সূত্র: কালের কণ্ঠ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস