শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার এটিএম থেকে বিকাশে রেমিটেন্স ক্যাশ আউট ৭ টাকায় বগুড়ায় বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো জামায়াত মমতাজসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা একসঙ্গে ৫ নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে: সালাহউদ্দিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র কারাগারে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশি রাশিয়ায় এবার বিমানঘাঁটিতে হামলা, এখনো জ্বলছে তেল টার্মিনালের আগুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর রাজনগরে ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১ হারুনের দেশত্যাগ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১৪ শিক্ষার্থী আহত দুই কোটির ব্যবসায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ, এস আলমের মাসুদের ঘাড়ে দায় গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রসববেদনা এড়াতে সিজারে ঝুঁকছেন নারীরা

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাভাবিকের চেয়ে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে খুলনায় সন্তান প্রসবের হার বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রসববেদনা এড়ানো, স্বাভাবিক প্রসবের সময় সৃষ্ট জটিলতায় না ভুগতে চাওয়া এবং ক্লিনিকগুলোর দালালদের কারণেই মূলত সিজারের হার বেড়েছে। তবে সিজারিয়ান অপারেশনের প্রতি শহুরে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীদের ঝোঁকই বেশি। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেক কমে যায় বলে তাদের ধারণা।

খুলনার একাধিক চিকিৎসক, ক্লিনিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনার সময় যাতায়াতের সমস্যার কারণে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপারেশন কম হয়েছে। তবে এখন এই হার আবার আগের জায়গায় ফিরে এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুলনার একাধিক গাইনি চিকিৎসক  জানান, একটা সুস্থ দেহে কোনো ধরনের কাটাছেঁড়া করা হলে তার রেশ কখনোই শেষ হয় না। নানা জটিলতায় ভুগতে হয় মাকে। তাই চেষ্টা করা হয় স্বাভাবিকভাবেই যেন সন্তান প্রসব হয়।

কিন্তু মানবদেহের নানা জটিলতার কারণে অনেক সময় স্বাভাবিক প্রসব করানো সম্ভব হয় না। অনেক সময় মায়ের নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভের সন্তানও জটিল অবস্থানে রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে তারা সিজারিয়ান অপারেশন করাতে বাধ্য হন।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, শহরের মানুষরা এখন অনেক সচেতন। ফলে গর্ভধারণের সময় থেকেই গর্ভবতী মায়েরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কোনো সময় জটিলতা দেখা দিলেও চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে নারীরা এখনও চিকিৎসাকেন্দ্রে আসতে চান না, পরামর্শও নেন না।

ফলে গর্ভধারণের পর কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে তা সারিয়ে তোলা যায় না। তারা এমন সময় চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন, যখন বাঁচা-মরার লড়াই শুরু হয়। তখন অপারেশন না করে কোনো উপায় থাকে না।

দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আমিনা  বলেন, রোগীরা আগের মতো ব্যথা সহ্য করতে চান না। তাদের ইচ্ছাতেই সিজার করানো হয়।

খুলনার সিভিল সার্জন নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট খুলনা জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যাই বেশি। এখানে যেসব রোগী আসেন তারা খুব জটিল অবস্থায় থাকেন। ফলে অপারেশন ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তবে চিকিৎসকদের সবসময় চেষ্টা থাকে যেন স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করানো যায়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com