বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সমন্বয়ক এবং সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায় আর নেই।
৮৯ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ আজ ভোরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
অজয় রায়ের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে থাকেন। সন্তানরা ফিরলেই বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন তার স্ত্রী জয়ন্তী রায়।
অনেক দিন ধরেই অজয় রায় অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিউমোনিয়া, কিডনি, হৃদ্রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর বুধবার অজয় রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ সকাল ১০টায় আনা হবে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ দাহ না করে সমাধিস্থ করা হবে। নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হবে।
বামপন্থী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা বিশিষ্ট লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র অজয় রায়-এর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলন, সংগ্রাম সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং এক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অজয় রায়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশের সামাজিক আন্দোলনের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তার অবদান দেশবাসী স্মরণ রাখবে।
উপাচার্য মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এস