বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে স্থগিতের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
আগামী ১৫ মে ভোটকে সামনে রেখে যখন ঢাকা লাগোয়া জনপদটি প্রচারে জমজমাট তখন রবিবার উচ্চ আদালতের এক আদেশে স্থগিত হয়ে যায় ভোট।
যার আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে সেই এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ এই জেলারই বাসিন্দা নন। তিনি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এই আওয়ামী লীগ নেতার আপত্তি তার ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত হয়েছে। অথচ এই মৌজার ভোটাররা তার ইউনিয়নেরও ভোটার।
সুরুজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তার এই কর্মকাণ্ডে ভীষণ ক্ষিপ্ত হয়েছেন গাজীপুরে দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
সুরুজ সম্পর্কে গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আজমত উল্লাহ খানের বেয়াই হন। জাহাঙ্গীরের ধারণা, এই আত্মীয়তার সম্পর্কও এই রিটে আবেদনের পেছনে ভূমিকা রেখেছে। কারণ, আজমত নির্বাচনের শুরু থেকে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কাজ করছিলেন বলে তথ্য ছিল আওয়ামী লীগে।
সুরুজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আজমতের সঙ্গে আত্মীয়তার সঙ্গে এই রিটের সম্পর্ক নেই। আজমতই বরং নানা সময় আদালতে তার আবেদন নাচক হওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
রোববার উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর ভোটের প্রচার স্থগিত রেখে জাহাঙ্গীর ছুটে যান ঢাকায়। বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যায় তিনি গণভবনে যান দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি নেত্রীকে সব জানালাম। নির্বাচন নিয়ে কথা বললাম। তিনি আমাকে আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
সোমবার সকালে জাহাঙ্গীর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভায় যোগ দিতে টঙ্গীর হায়দরাবাদ যান। সেখান থেকে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করতে ঢাকায় যান জাহাঙ্গীর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস