বাংলা৭১নিউজ, টেকনাফ প্রতিনিধি: প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে বাংলা চ্যানেল (টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন ) পারি দিলেন আন্তর্জাতিক নিউজ এজেন্সি এপির নারী সাংবাদিক বেকি হাসব্রো। তিনি পৌণে ৫ ঘণ্টা সময় নিয়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন। রোববার বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিতে গিয়ে ওই নারী সাংবাদিকের কাছে হার মানলেন মুসা ইব্রাহীম।
ব্রিটিশ সাংবাদিক বেকি হাসব্রো ও ওয়াসিউর রহমানকে নিয়ে বাংলা চ্যানেল (১৬.১ কিলোমিটার সাগরপথ) পাড়ি দিতে যান মুসা ইব্রাহীম। রোববার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মুসা, ওয়াসিউর ও বেকি শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন। কিন্তু নাফ নদীর মোহনা পাড়ি দেয়ার আগেই মাত্র ৪৫ মিনিটেই হাঁপিয়ে উঠে সাঁতার বন্ধ করে ট্রলারে উঠে পড়েন মুসা ইব্রাহীম ও ওয়াসিউর রহমান।
তবে মুসা ইব্রাহীম দাবি, আবহাওয়া সাঁতারের উপযোগী ছিল না। সাগরে প্রচুর বাতাস ছিল এবং সাগরের পানি অনেক বেশি ঠাণ্ডা ছিল। কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর তাদের দুজনের মাংসপেশিতে টান পড়ে। যার কারণে তিনি ও ওয়াসিউর ট্রলারে উঠে পড়েন।
বেকি হাসব্রো বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে বলেছেন, সফলভাবে বাংলা চ্যানেল সাঁতার কেটে পাড়ি দিয়ে সম্পন্ন করতে পেরে আমি খুবই খুশি। নিজের রেকর্ড ভাঙার জন্য তিনি আবার আসবেন বলেও জানান।
ব্রিটিশ এ সাংবাদিক আরও বলেন, ১৯৫৮ সালে প্রথম বাঙালী হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হয়েছিলেন ব্রজেন দাস। আর ২০১৮ সালে প্রথম ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে আমি বাংলা চ্যানেল পার হলাম। এপির এ নারী সাংবাদিক আসলে বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মুত্যু রোধে সচেতনতা তৈরির জন্য এসেছেন। বিট্রেনে পানিতে ডুবে প্রতি বছর মারা যায় গড়ে ১৫ জন আর বাংলাদেশে প্রতিদিনই গড়ে প্রায় অর্ধশত শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এ খবরটি পড়ে তিনি সাঁতার শেখার ব্যপারে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশে আসেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস