এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বলে রিভিউ নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতেই বাজিমাত।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে হলো। কারণ রিপ্লেতে দেখা গেলো, লেগস্টাম্পে আঘাত করতো বল। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেলেন মিরাজ, দিনেশ চান্দিমালকে ফিরতে হলো শূন্য রানেই।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৬৪ রান। দিমুথ করুনারত্নে ২৮ আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কানদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ৬৪ রানের মধ্যে তাদের ৪ ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়েছে টাইগাররা। এর মধ্যে দুটি উইকেট নাহিদ রানার।
বিপিএলেই গতির রাজা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন নাহিদ রানা। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েই সেই গতির পসরা সাজিয়েছিলেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসেও আগুনে বোলিং অব্যাহত রেখেছেন নাহিদ রানা। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে প্রথম বল করতে আসেন নাহিদ। এই ওভারের চতুর্থ বলে তেমনই এক ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লঙ্কান ওপেনার নিশান মাধুশঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার রান এ সময় ছিল ১৯। ২০ বলে ১০ রান করে আউট হন মাধুশঙ্কা। এরপর রানার দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস (৩)।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস অনেকটাই সেট হয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে বল হাতে নিয়েই লঙ্কান এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত করেছেন তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের টার্নিং ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক লিটনকে ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাথিউস (২২)।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৮৮ রানে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ