সিরিয়ার নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি সৌদি আরবে তার প্রথম বিদেশ সফর করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এই সফর সিরিয়া-সৌদি সম্পর্কের একটি ‘নতুন, উজ্জ্বল অধ্যায়ের’ সূচনা করবে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, বুধবার গভীর রাতে সৌদি আরবে পৌঁছান আসাদ আল-শাইবানি। সিরিয়ার নতুন সরকারের এটি প্রথম আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সফর।
নভেম্বরের ৮ তারিখে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর শাইবানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুরহাফ আবু কাসরা এবং সাধারণ গোয়েন্দা প্রধান আনাস খাত্তাব।
রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শাইবানিকে সৌদি আরবের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ বিন আবদুলকরিম এল খেরেইজি অভ্যর্থনা জানান। এই সফর কেবল কূটনৈতিক নয়, বরং উভয় দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির এক নতুন অধ্যায়।
একান্ত এক সাক্ষাৎকারে শাইবানি জানান, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব সিরিয়ার ভবিষ্যত গঠনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষত তেল ও জ্বালানির ক্ষেত্রে ইরানের ওপর নির্ভরতা কমাতে উপসাগরীয় দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ায় ২০১১ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দমন-পীড়ন থেকে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত হয়, যা দেশটির অর্থনীতি ও অবকাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়। সৌদি আরব ২০১২ সালে আসাদ সরকার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল, তবে ২০২৩ সালে আরব লিগে সিরিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সিরিয়া ও সৌদি আরবের এই সম্পর্ক পুনর্গঠন মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ