বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: বিস্তর সমালোচনা হচ্ছিল। রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’ বলা থেকে বিরত থাকছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে অবশেষে রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই সম্বোধন করলেন পোপ ফ্রান্সিস। বালুখালি ক্যাম্প থেকে পোপের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয় ১৬ রোহিঙ্গাকে। এ সময় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘আজকে সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির নামও রোহিঙ্গা’ (The presence of God today is also called Rohingya.)
এর আগে মিয়ানমার সফরে এবং বাংলাদেশ সফরে আন্তধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করা থেকে বিরত থাকেন তিনি। মিয়ানমারে আসার আগে মিয়ানমারের আর্চবিশপ পোপকে এমন পরামর্শই দিয়েছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিসও সতর্কতার সঙ্গে রোহিঙ্গা শব্দটি এড়িয়ে গেছেন। তাদের আখ্যা দিয়েছেন রাখাইনের বাস্তুচ্যুত জনগণ হিসেবে। অথচ এর আগে বহুবার নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। ভাগ্যাহত এ জনগোষ্ঠীকে নিজের ভাই বোন বলে আখ্যা দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই সম্বোধন করেছেন। কিন্তু এবারের মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরেই তার ব্যতিক্রম দেখা যায়। ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু এবারে শুধু রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করলেন তাই নয়। শক্তিশালী এক উক্তিতে ব্যবহার করলেন রোহিঙ্গা শব্দটি। বললেন, ‘আজ সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির নামও রোহিঙ্গা।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে অবস্থানকালে রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা না বলায় মানবাধিকার গ্রুপগুলোর তরফে সমালোচনার শিকার হন পোপ। অবশ্য ঢাকার কাকরাইলে হওয়া আন্তধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেয়ার বক্তব্যেও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন নি তিনি। পরে এক মন্তব্যে পোপ উক্তিটি করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস