বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: প্রতিক পেয়েই মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন ১৮৯জন প্রার্থী। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনকে ঘিরে পুরো আলফাডাঙ্গার মানুষ উৎসব মুখর সময় কাটাচ্ছেন।
ফরিদপুর জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ০৬ এপ্রিল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাকে পৌরসভা ঘোষনার পর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। একই সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আলফাডাঙ্গা সদর, বুড়াইচ ও গোপালপুর ইউনিয়নেরও।
এদিকে, পৌরসভার প্রথম নির্বাচন তাই ভোটদানে ভোটারদের উন্মাদনাও অন্যরকম। তবে সবকিছুর পরে যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে চান তারা।
আর এরই মধ্যে নিজ কর্মীদের সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান খাঁন বলেন, ক্ষমতাশীনদের আমার কর্মী ও আমি চাপের মধ্যে রয়েছি। তবে, তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীদের। তাদের দাবী, সুষ্ঠ নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করাই তাদের লক্ষ্য। আলফাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক শেখ ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত পৌর মেয়র প্রার্থী মো. সাইফুর রহমান সাইফার মনে করেন, আলফাডাঙ্গা আওয়ামীলীগের ঘাটি, আর আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পওয়ায় তারা এমনিতেই এগিয়ে রয়েছে, তাই বল প্রয়োগের প্রশ্নই ওঠেনা।
এদেকে মেয়র ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর, সদস্য, ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রার্থীরা। ভোটারদের কাছে নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন তারা।আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, নির্বাচিত হলে উন্নয়নে ভুমিকা রাখবো। অরদিকে ০২ নং (০৪,০৫ ও ০৬) ওয়ার্ড কাউন্সিলর রহিমা বেগম ইতি বলেন, সমাজে নারীরাই সর্বাধিক অবহেলিত, নির্বাচিত হয়ে তাদের পক্ষে কাজ করতে চাই।
এদিকে তিনটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানই আওয়ামীলীগের নেতা ও সমর্থক হলেও তাদের কেউই আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পায়নি। তারা সবাই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। আলফাডাঙ্গা ইউপি আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী একেএম আহাদুল হাসান আহাদ ও বুড়াইচ ইউপির আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল ওহাব পান্নু জানায়, আওয়াশীলীগের সুখে দু:খে সবসময় সাথে থেকেও মনোনয়ন পাইনি। এলাকার মানুষের ভালোবাসার মূল্য দিতে নির্বাচনে প্রতিদন্দিতা করছি। বিজয়ী হলে নৌকা ও শেখ হাসিনার রুপকল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে প্রক্রীয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাবিবুর রহমান। তিনি জানান, অদ্যবদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের কোন অভিযোগ করেনি। তিনি আরো জানার, নির্বাচনে পৌরসভায় ১০হাজার ৮৮২জন ভোটার এবং তিনটি ইউনিয়নে ৩২হাজার ২৩৫জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন শান্তিপুর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস