বাংলা৭১নিউজ,খাগড়াছড়ি প্রতনিধি: ফাগুনের ছোয়ায় ফুলে ফুলে রঙ্গিন সাজে সেজেছে পলাশ-শিমুলের গাছ। সেই সাথে পার্বত্য খাগড়াছড়ি পানছড়ির পাহাড়ের কোণায় কোণায় প্রাকৃতিক বর্ণিল সাজে আমের মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আম গাছগুলো। ঋতুরাজ বসন্ত আগাম জানান দিচ্ছে মধুমাসের উপস্থিতি। মুকুলে মুকুলে নতুন ভাবে সেজেছে উপজেলার বিভিন্ন আমের বাগান আর শোভা ছড়াচ্ছে স্বমহিমায়।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাগান মালিক ও আম চাষীদের সাথে আলাপকালে বলেন, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন আশা করা যায়। আমচাষী ও আম বাগান মালিকরা বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পানছড়ির অনিমেষ চাকমা, সন্তোষ চাকমা, শহিদুল্লাহ,শনখলার সুপ্রিতি চাকমা,কংচাইরি পাড়ার নিলয় মারমা জানায়- গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই বাগান ও গাছের পরিচর্যা শুরু হয়েছে।
যাতে করে গাছে মুকল বা গুটি বাঁধার সময় কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়। তবে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে বেশীর ভাগ বাগানেই সুস্মিষ্ট আম্রপলি জাতের আম বাগানই বেশী। কিছু কিছু বাগানে আম্রপলি জাতের সাথে ফজলি, রুপালী, আশ্বিনা জাতের আম চাষ করেছেন। সুফলও পেয়েছেন অনেকে। প্রথমত ২০০৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকা বাগান প্রকল্প থেকে সরকারী সহযোগীতায় আম বাগান করলে,পরবর্তী সময় তাদের সফলতা দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে নিজেরাই চারা উৎপাদন করে অধিকাংশ আম-লিচু বাগান তৈরী করেন। পার্বত্যাঞ্চলে উৎপাদিত আম মানসম্মত হওয়ায় ও বিভিন্ন শহরে পাহাড়ের আমের চাহিদা থাকায়, আম চাষিরা তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দীন শেখ জানান,পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া খুবই উর্বর হওয়ায় আম, আনারস, লিচু,কমলা সহ অন্নান্য ফলজ ভাল উৎপাদন হয়। মাঠ পর্যায়ে বাগান ও বসতবাড়ীর চারপাশ ছাড়াও দন্ডায়ামান আম গাছের মুকুল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত গাছের আম যাতে বিনষ্ট না হয় সে জন্য সর্তক দৃষ্টি রয়েছে।
এছাড়াও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাষী উদ্বুদ্ধকরণ করার জন্য ও সহযোগীতা করার জন্য বলা আছে। বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও অনেক বেশী আম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/আরফিুল ইসলাম মহনি