শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: শুধু বাংলাদেশ নয়, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে চলমান ৯৮তম ও ৯৯তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক সহযোগিতা আমরা বৃদ্ধি করেছি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একটা যোগাযোগ স্থাপন হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ আছে।’

দারিদ্র‍্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাম। গ্রামের অর্থনীতিটাকে আমরা আরও শক্তিশালী ও উন্নত করতে হবে। গ্রামে দারিদ্র্য বিমোচন করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কর্মসূচি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন আমরা করে যাচ্ছি। শিক্ষাই হচ্ছে একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে একটি দেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করা যায়।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। একটি দেশে বারবার সামরিক ক্যু হয়। ১৯ বার সামরিক ক্যু হয়েছে। সামরিক অফিসার, সৈনিক নির্বিচারে তাদের হত্যা করা হয়েছে। প্রতি রাতেই ছিল কারফিউ। এই হত্যা, ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমাদের দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করে কোনো রকম ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ক্ষমতার পালা বদল।’

বিগত সরকারের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক দিনে ১৩ জন সচিবের চাকরি খেল। সামরিক বাহিনীর অবস্থা তো আরও খারাপ। প্রায় ১২শ কর্মকর্তাকে সামরিক বাহিনী থেকে বিদায় দিয়ে দিল।’

এমডিজি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০০ সালে আমরা এমডিজি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমরা সরকারে আসার পর প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমরা বাস্তবায়নে সক্ষম হয়েছি। এবারে আমরা লক্ষ্য নিয়েছি এসডিজি। এটাও আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নের ওপর আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

দেশ গড়ার বিষয়ে করণীয় কী এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি দেশকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হলে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে জ্ঞান আপনারা অর্জন করবেন, সেটাই আপনারা কাজে লাগাতে পারবেন দেশ গড়ার ক্ষেত্রে। এজন্য আমরা প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দিই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি। আমরা জানি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রশিক্ষণ একান্তভাবে প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি এই প্রশিক্ষণ কোর্স সরকারি দায়িত্ব পালনে সহায়ক হবে এবং আপনারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের সক্ষম হবেন।’

দেশের উন্নয়নের তুলনামূলক রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা কী অবস্থায় ছিলাম পাকিস্তান আমলে? তখন আমাদের কোনো অধিকারই ছিল না। বাঙালিরা ছিল সব থেকে অবহেলিত। এই অবহেলিত বাঙালির কথাই জাতির পিতা সব সময় চিন্তা করেছেন। আজকে আমরা এই প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের সব ক্ষেত্রেই সব জায়গায়ই বাঙালিরাই আছি। এমন দিন ছিল পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের কোনো অবস্থান ছিল না।’

সামরিক ও বেসামরিক বিমানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামরিক ও বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই বাঙালিরা ছিল সম্পূর্ণভাবে অবহেলিত। কেন্দ্রীয় সচিবালয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ৬৯২ জনের মধ্যে বাঙালি অফিসার ছিল মাত্র ৪ জন। সচিব পযায়ে কোনো বাঙালি স্থান পায়নি। যুগ্ম সচিব পর্যন্ত মাত্র ৮ জনের মতো ছিল। সামরিক ক্ষেত্রে অবস্থা আরও করুণ। কেবল মাত্র মেজর পদ পযন্ত বাঙালি ছিল, একজন মাত্র কর্নল পদ পেয়েছিল। বাঙালির কোনো কথা বলার অধিকার ছিল না। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাট বৈষম্য ছিল। তারা আমাদের অবহেলা করত, মনে করত বাঙালিরা আবার কী করবে? কিন্তু ওরাই এই বাঙালির কাছে পরাজিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে। আমরা বিজয় অর্জন করি, আমরা বিজয়ী জাতি আজ।’

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস। বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট উৎক্ষেপণ করছি। ঘরে বসে নিজের দেশের মধ্যে যোগাযোগ এবং বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ আমরা করে দিয়েছি। ডিজিটাল সেন্টার বাস্তবায়ন করেছি। কোরবানির গরুও কিন্তু এখন অনলাইনে বিক্রি হয়।’

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে একটা সমস্যা ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে। কারণ তারা মনে করে দরিদ্র দেশ পেলেই চাপ দিয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিয়েই নেবে। দুর্নীতির প্রশ্নটা উঠলো, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, আমাকে দুর্নীতি দেখাতে হবে মুখে বললে হবে না। তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমার কথা ছিল নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করব। তা করছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবপ্রমুখ।

লা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com