শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রতিদিন শিশুটিকে পুলিশ সদস্যই বাসে তুলে দিতেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, চট্রগ্রাম: পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিন সকালে এসে বাচ্চাটিকে স্কুলবাসে তুলে দিতেন। গত শনিবার রাতে তাঁকে ফোন করা হয়নি। এ জন্য রোববার তিনি আসেননি। ফলে মা মাহমুদা খানমের সঙ্গেই কাল বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বাবুল আক্তারের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হওয়ার খবর শুনে সাদ্দাম ছুটে যান ওই বাসায়। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। চিৎকার করে বলতে থাকেন, কেন তাঁকে ফোন করা হয়নি। কেন ভাবি (মাহমুদা) তাঁকে আসতে বললেন না।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে পুলিশ লাইনে গিয়েছি। শনিবার রাতে কেন ভাবি আমাকে ফোন করলেন না। সকালেও কেন জানালেন না। আমি যদি আসতাম তাহলে হয়তো ভাবি বেঁচে যেতেন। আজ সকালে আমি কেন বাসায় আসলাম না…।’

মাহমুদা খানমের এমন মৃত্যুর জন্য নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিলেন না এই পুলিশ সদস্য। অন্যরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর কান্না থামছিল না। সকাল নয়টার দিকে তিনি যখন আক্ষেপ আর আহাজারি করছিলেন, এর দুই ঘণ্টা আগে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিতে খুন হন মাহমুদা খানম। ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসার দূরত্ব বড়জোর ১০০ গজ।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন বাবুল আক্তার। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেন।

তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন চট্টগ্রামে। স্ত্রী নিহত হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় র‍্যাবের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে নামেন তিনি। সেখান থেকে সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাঁকে জানানো হয় স্ত্রী মাহমুদা গুরুতর অসুস্থ।

কিন্তু সহকর্মী ও স্বজনদের কাঁদতে দেখে বাবুল আক্তার বুঝতে পারেন, তাঁর স্ত্রী আর নেই। জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সহকর্মীরা।

বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com