রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সর্বজনীন পেনশন ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশী ৫০০ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন দলগতভাবে নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো: নানক নির্বাচনের পর সংকট আরও বেড়েছে: ফখরুল আরো জনশক্তি নেবে সৌদি আরব সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ চোরাচালানের ৩৪৪ মোবাইল ফোন জব্দ, কারবারি গ্রেপ্তার বাইকারদের বিক্ষোভ মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের ঠেলাগাড়ি নয় বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মির, নিহত ১ পুলিশ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের ক্ষতি করছে ‘মিডল ম্যান’ চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে: শিল্পমন্ত্রী বেনেট-রাজায় জিম্বাবুয়ের বড় জয় ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে’ প্রতিশ্রুত সেবা না দিলে অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ রূপালী ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানের পেছনে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১ এসএসসি : কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩

প্রতারণার সব অর্থ-সম্পদ ফ্রিজ করা হবে: সিআইডি প্রধান

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, যারা প্রতারণা করে গাড়ি-বাড়ি করছে এবং বিদেশে অর্থপাচার করছে তাদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হবে। সেই সঙ্গে তাদের সব সম্পদ, টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সিআইডি প্রধান বলেন, যারা প্রতারণা করে মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে টাকা পাচার করছে আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেবো না। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু ঘটনায় এমন অর্থ ফ্রিজ করেছি। এখনও আরও কিছু কাজ চলছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি যারা প্রতারক তারা প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর সেই টাকা আর রাখেন না। এমনটাই হয়েছে লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী মূলহোতার ক্ষেত্রে। চক্রটি মানুষকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো।

সিআইডি প্রধান বলেন, ইদানীং যে কোনো ব্যক্তিকে ফোন করে অথবা ফেসবুকে বিনা বিনিয়োগে অর্থ কামানো যায় বলে প্রলোভন দেখাচ্ছে। তারা আপনাকে ফোন করে বলবে ৩০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ৬০০ টাকা পাবেন, বাসায় বসে বিনা পুঁজিতে লাভবান হবেন, নানা কথা বলে আকৃষ্ট করছে।

তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা একটি লিংক পাঠায়। তাতে ক্লিক করলে তারা আপনাকে টোপ হিসেবে কিছু টাকা দিচ্ছে এরপর সেই লিংক বন্ধ করে দিচ্ছে। পরে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে চক্রটি। চক্রটির সঙ্গে বিদেশি একটি চক্র জড়িত। আমরা তাদের নিয়ে কাজ করছি।

লাগেজ ভর্তি ডলার পাঠানোর কথা বলে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাৎ

সুমন আল রেজা (৪০)। বাংলাদেশেই থাকেন। তার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের একজন সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে। সেই অর্থ ডলারে আনতে তাকে খরচ দিতে হবে। যার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টাকা।

রেজা প্রলোভনে পড়ে তার বোন দুলাভাইয়ের কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নেন। এরপর সেই টাকা পাঠান প্রতারক চক্রের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এরপর সেই টাকা তুলে নেয় চক্রটি। এভাবে বিভিন্নজনকে ডলার পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছে চক্রটি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চক্রটির মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার ইউনিট। গ্রেফতাররা হলেন- সোহেল আহমেদ অপু (২৮), ইব্রাহিম (৩০) ও আকাশ (২৪)।

তাদের মধ্যে মূলহোতা তপুকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে গত মাসে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, তপুকে গ্রেফতার করা হয়। তপু মিরপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, সুমন আল রেজার সঙ্গে প্রতারক চক্রের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের এক সদস্য নিজেকে ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ফ্লোরিডা সিটি ব্যাংকের একজন ক্লাইন্টের ৬০ লাখ ডলার ডিপোজিট রয়েছে।

সেই ব্যক্তি গত ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর মারা গেছেন। কিন্তু তার কোনো ওয়ারিশ নেই। এরপর প্রতারক সুমন আল রেজাকে প্রতারক ব্যাংক ক্লায়েন্টের ওয়ারিশ হওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেন।

তার ডিপোজিট করা টাকা উত্তোলনের পর দুজনে সমানভাগে ভাগ করে নেওয়ার প্রস্তাবও দেন তাকে। এরপর প্রতারক চক্রটি সুমন আল রেজার কাছে লাগেজ ভর্তি ডলার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো চার্জ বাবদ ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন।

সেই টাকা দেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) দাবি করে। এবার রেজা লাগেজ ভর্তি ডলারের প্রলোভনে পড়ে যান। সেই প্রতারক চক্রের কথামতো বাংলাদেশ ফেডারেল ট্যাক্স হিসাবে ৫৫ হাজার ডলার (৬১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা) গোল্ডেন লজিস্টিক এন্টারপ্রাইজের ডাচ বাংলা ব্যাংক ঢাকার মিরপুর-১০ শাখায় পাঠিয়ে দেয়।

রেজা অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখতে পান তার অ্যাকাউন্টে কোনো ডলারই ঢোকেনি। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তপুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com