বাংলা৭১নিউজ, হিলি প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর জমি আছে ঘর নাই কর্মসূচির নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ প্রতারক এনজিও কর্মকর্তা আল-আমিনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করেছে।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ‘জমি আছে ঘর নাই’ কর্মসূচি সরকারী ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই, এমন ব্যক্তিদের ইউপি চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়রের মাধ্যমে বাছাই করে সরকারী ভাবে তালিকা প্রনয়ন করে এসব ব্যক্তিদের ঘর নির্মানের জন্য সরকারী ভাবে এক লাখ টাকা করে বরাদ্ধ হয়ে থাকে।
ঢাকাস্থ গোল্ডেন ইনভারমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (জিইডিএফ) জয়পুরহাট আঞ্চলিক অফিসের কয়েক ব্যক্তি নিজেদের বিরামপুর উপজেলা সমন্বয়কারী হিসাবে পরিচয় দিয়ে উপজেলার ২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনের নিকট গিয়ে বলে, তারা অতিদরিদ্র বা ৮/১০ শতক জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন ৩/৪শ’ ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করে ঘর নির্মানের জন্য ১লাখ টাকা করে বরাদ্দ এনে দিবে। এ জন্য ফরম বাবদ ৩শ টাকা এবং টাকা বরাদ্দ বাবদ ১০ হাজার হারে ঘুষ টাকা দাবি করেন।
একই ভাবে তারা উপজেলার ১নং মুকুন্দপুর, ৫নং বিনাইল ও ৬নং জোতবানী ইউপি চেয়ারম্যানদের নিকটও একই প্রস্তাব দেন।
এনজিও কর্মকর্তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন এবং গত সোমবার (১৬ জুলাই) বিরামপুর থানায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার আসামীরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার মানিক কাজী গ্রামের রফিকুল ইসলামের পুত্র আল-আমিন (২৫) এবং ফুলবাড়ি থানার ফকিরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান (২৪)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই প্রদীপ চন্দ্র সরকার মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ি থেকে ১নং আসামী আল-আমিনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরন করেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যানগণ সরকারের কর্মসূচি সম্পর্কে সজাগ থাকায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান মামলা করেছেন এবং অন্যরা স্বাক্ষী হয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ভূয়া জেনেই মামলা করেছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস