কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ডাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে কর্মসূচি শুরুর পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন মিছিলকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টায় টিএসসি চত্বর থেকে মিছিল সহকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। এসময় তাঁরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে এগুতে থাকে। তাঁদের কর্মসূচিকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর সদস্য সতর্ক অবস্থানে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, টিএসসি থেকে রওনা হওয়ার পর পুলিশের দুই দফা বাধা অতিক্রম করে দোয়েল চত্বরের পাশ দিয়ে সচিবালয় এলাকায় পৌঁছন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। বাধা অতিক্রমকালে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। একপর্যায়ে সচিবালয় এলাকায় পৌঁছলে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। এখানেও পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা চলে তাঁদের।
শেষপর্যন্ত এখানেই অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। ছাত্রজোটের শীর্ষ নেতাদের বক্তৃতা দিতেও দেখা যায়। বক্তব্যে তাঁরা চলতি মাসের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান। এছাড়া লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ জানান ও কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তি দাবি করা হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। তাঁরা বলেন, দাবি মানা না হলে তাঁদের এ কর্মসূচি চলবে। প্রয়োজনে হরতাল আহ্বান করা হবে।
জানা গেছে, পুলিশের বাধা পাওয়ায় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে সরে এসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি দিতে চান নেতৃবৃন্দ। অন্তত ১০ জনের একটি দল ভেতরে যেতে চান স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য। বেলা পৌনে ২টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা।
বাংলা৭১নিউজ/এএম