বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রয়োজনে সমান্তরালে সবকাজ একসঙ্গে চালিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) অনলাইনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন-বিপিসির আওতায় বাস্তবায়নে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পের পর্যালোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নসরুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গভীর সমুদ্রে তেল খালাসের জন্য ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন, জ্বালানি তেল পরিবহনের টেকসই সমাধানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ এবং দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিনের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।
গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী হুঁশিয়ার করেন বিপিসিকে। তিনি জানান, প্রকল্প পরিচালকের ব্যর্থতায় এসব প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়লে তার দায় নেবে না জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এ সময় প্রকল্পগুলো তদারকি করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গভীর সমুদ্রের বহির্নোঙর থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনে এসপিএম শীর্ষক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, মেয়াদ বাড়িয়ে এটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা এখন ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।
এদিকে রাজধানীতে টেকসই জ্বালানি তেল পরিবহনের টেকসই প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়িত হচ্ছ ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই ২০২২ সালে শষে করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও, ৩ মাস বেড়েছে এর মেয়াদ।
এ ছাড়া ১৫ লাখ টন জ্বালানি তেল পরিশোধনের ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির সক্ষমতা বাড়াতে ইআরএল-২ নামের আর একটি প্রকল্প গ্রহণ করলেও তারও অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি ২০২৩ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হলে, ইস্টার্ন রিফাইনারির তেল পরিশোধনের উন্নীত হবে ৪৫ লাখ টনে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি- এডিপি বরাদ্দ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা (২ হাজার ৯৬০ কোটি)। বরাদ্দের বিপরীতে সেপ্টেম্বর, ২০ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৬৬৪ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বিপিসির আওতাধীন কোম্পানির ১০টি প্রকল্পে এডিপি বরাদ্দ দেড় হাজার কোটির ওপরে (১৬৩৯ দশমিক ৪১ কোটি টাকা)।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান ও বিপিসির চেয়ারম্যান মো. শামসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি