চতুর্থ ধাপে দেশের ৫৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ দফায় ৩০টিরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। বাকি ২৫টি পৌরসভায় ভোট নেয়া হয় ব্যালটের মাধ্যমে।
সকাল ৮টা থেকেই কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় ভোটারদের দীর্ঘলাইন। কোথাও কোথাও দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।
এ দফায় ৫৬ পৌরসভায় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হলেও বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় ভোট স্থগিত করা হয়।
এর আগের, তিন দফায় দেশের ১৪৭টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে ২১৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৭০ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬১৮ জন প্রার্থী ছিল। এসব পৌরসভায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র এবং ৪ হাজার ৮৮৯টি ভোটকক্ষ ছিল। ভোটার ছিলেন আছেন ১৬ লাখ ৬৭ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৩২ হাজার ৪২৮ জন এবং নারী ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৬ জন।
চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৭টি পৌরসভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়। এসব পৌরসভায় র্যাবের ১৭টি টিম এবং বিজিবির ২৭ প্লাটুন অতিরিক্ত সদস্য মাঠে নেমেছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রের বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট হওয়া ৫৫টি পৌরসভায় পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং এবং র্যাবের ১৬৭টি টিম নির্বাচনি এলাকায় রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি এবং উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য রয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রের পাহারায় মোতায়েন করা হয় ১০ হাজার ৩০৯ জন সদস্য। এরমধ্যে অস্ত্রসহ ৩ হাজার ১৭২ জন পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ৫৮৬ জন অঙ্গীভূত আনসার এবং ৫ হাজার ৫৫১ জন লাঠিসহ আনসার মোতায়েন থাকছে। এছাড়া নির্বাচনি এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করতে ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে