সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা বিস্তৃত হচ্ছে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার বিস্তৃতি করার প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে সরকার।ফলে ইতোমধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ সমূহসহ বেশ কিছু দেশ পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করেছে।

আজ বুধবার দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদে একথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের গুণগত পরির্বতন এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করতে রপ্তানি নীতি ২০১৫-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।রপ্তানি বান্ধব নীতি ও সফল বাণিজ্যিক অর্থনীতির কারণে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে এবং সবিধা বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, চীন, ভারত ইত্যাদি দেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে।রপ্তানি সম্ভাবনা গুরত্বপূর্ণ বাজার বিশেষ করে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জাপান, ব্রাজিল, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশে রপ্তানি বিপণন উন্নয়নের জন্য সে সকল দেশে অনুষ্ঠিত আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলায় অধিক হারে অংশগ্রহণসহ বানিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাড়ি একটি খামার আমার নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত একটি দারিদ্র বিমোচন মডেল। এটি ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে প্রতিষ্ঠিত করেছে।তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুদ্র ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে দারিদ্র সীমার নীচে অবশিষ্ট ১ কোটি ৮০ লাখ লোককে সম্পৃক্ত করে ৩ কোটি মানুষের জন্য ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর একনেক সভায় ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।আমাদের লক্ষ্য স্থায়ীভাবে দারিদ্র মুক্তির মাধ্যমে একটি ক্ষুধামুক্ত মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।

দেশের একটি লোকও ভিক্ষা করবেনা, না খেয়ে থাকবেনা, যাতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বালম্বী হয়ে উঠতে পারে সেটিই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।
ডব্লিউইএফ’এ অংশগ্রহণ বহুজাতিক বিনিয়োগে আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে টেবিলে উত্থাপিত নুরুল ইসলাম মিলনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)’র সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অর্থনীতি কেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় ডব্লিউইএফ ফোরামে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য সুদূরপ্রসারী সুফল বয়ে আনবে বলে প্রতীয়মান হয়। সম্মেলনে আমাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বেও শীর্ষ বহুজাকি কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

সার্বিক বিবেচনায় এ সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল এবং ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। এছাড়া বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে, বিশেষ করে অর্থনীতি ও বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অভিবাসনসহ নানা ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র এবং বলিষ্ট অবস্থান তৈরি হয়েছে।বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী এ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উচ্চতর সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।

ডাভোস সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ বজায় থাকায় বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশকে নিয়ে আশাবাদী বলেও মন্তব্য করেন এবং বাংলাদেশকে যথাযথভাবে ব্রান্ডিং করার সময় এসেছে বলে মত প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, এজন্য আমি বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা ও পরিবেশের কথা তুলে ধরে বিদেশী বিনিয়োকারীদের বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগে উৎসাহী করতে ডব্লিউইএফ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করি।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)’এর এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৬০টি দেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধানসহ জাতিসংঘের নবনিযুক্ত মহাসচিব ও বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থা প্রধানসহ অংশগ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণের অংশগ্রহণের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে এ সম্মেলনের গুরুপ্ত অপরিসীম।বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ আরও সৃদৃঢ় করার লক্ষে ডব্লিউইএফ বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুপ্তপূর্ণ। এর ফলে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে একটি উদার গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আরও একবার তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে কাজ চলছে
গোলাম দস্তগীর গাজীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তথা বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমানে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্র্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে জাপানী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই কোং লিমিটেড এর সাথে ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে সাইট সার্ভে কাজ সম্পাদনপূর্বক প্রাথমিক পর্যায়ে সাইট সিলেকশনের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে।অন্যদিকে বাগেরহাটে খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে তিন ধারা নোটিশ জারি করা হয়েছে। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।

বাংলা৭১নিউজ/এএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com