স্বস্তি নেই পোল্ট্রি খাতে। দুই সপ্তাহে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ব্রয়লারের দাম এখন ২১০ টাকা। এতে আরও সংকটে পড়েছেন মাংসের চাহিদা পূরণে ব্রয়লারনির্ভর ক্রেতারা। তবে বাজারে স্থিতিশীল অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম।
দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় প্রাণিজ আমিষের বড় যোগান আসে ব্রয়লার মুরগি থেকে। তুলনামূলক কম দাম থাকায় চাহিদা রয়েছে সব শ্রেণির মানুষের কাছেই। মূলত কম আয়ের ভোক্তারাই বেশি নির্ভরশীল ব্রয়লার মুরগির ওপর।
তবে এ বাজারও এখন অস্থির। উর্ধ্বমুখী ব্রয়লার মুরগির দাম। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র। বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজিতে।
এদিকে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিও, বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। দু’সপ্তাহ আগেও যা পাওয়া যেত ২৬০ টাকায়।
দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে মিশ্র মতামত বিক্রেতাদের। অতিরিক্ত দামে দিশেহারা কম আয়ের ভোক্তারা। তারা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এত দাম দিয়ে মুরগি কেনা কষ্টকর।
আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এর আগে কখনোই এত দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়নি। এক মুরগি ব্যবসায়ী বলেন, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ইলিশ ছাড়া আগের মতোই রয়েছে প্রায় বেশিরভাগ মাছের দাম। স্বাভাবিক রয়েছে আটা, ময়দা, ডাল, ছোলা, তেলের দামও। রমজানে বেশি প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের কোনো সংকট নেই।
এছাড়া শীতের শেষেও সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় বাজারে অনেক সবজি মিলছে ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে