বিশ্বের গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেছেন, একসময় পেশাগত কারণে বাংলাদেশ সফর বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য অনেকটা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তা উন্মুক্ত ও অবারিত।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মেক্সিকোতে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই অলিখিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ সফর করে প্রকৃত পরিস্থিতি অনুধাবনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সরকারপ্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মতবিনিময়কালে বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেওয়ায় মুশফিকুল ফজলকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে চলা দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে এক বিস্ময়কর নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। এর জন্য হাজারো তরুণকে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সাম্প্রতিক রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এমন বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে অনুসন্ধানী দল।
ছাত্রদের নেতৃত্বে এ বিজয় অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় হত্যা, গুম, কারাবরণকে মাথায় নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল হাসিনার দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে গেছে।
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারি বলেন, ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রথা ও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করে চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সরকার।
মেক্সিকোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হবে। পারস্পরিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা থাকবে সচেষ্ট। বাংলাদেশে মেক্সিকোর একটি দূতাবাস স্থাপন জরুরি বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ