রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, অবশেষে আটক দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপি-জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে: নাছিম ৬.৭৫ শতাংশে নেমে যাবে মূল্যস্ফীতি : অর্থমন্ত্রী গুনে শেষ করা যায় না ফয়সালের সম্পদ! ৫৩ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে প্রগতির পরিচালক গ্রেপ্তার ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল হবে: প্রধানমন্ত্রী ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে শরিয়া সচেতনতাবিষয়ক ওয়েবিনার সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে: ফখরুল সরকারের উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে কাজ করছে ‘কেয়ার বাংলাদেশ’ বে-টার্মিনাল প্রকল্পে ৭৬০৫ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক বাইডেন বাদ, শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী মিশেল ওবামা? বাজেটকে মোটেই উচ্চাভিলাষী মনে করি না: প্রধানমন্ত্রী ‌‘বাজার অস্থির হওয়ার নেপথ্যে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি’ ‘ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে’ জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে আ. লীগ অর্থনীতি সংকটে, প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক : জি এম কাদের ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা আইন সংশোধনের তাগিদ, সচেতনতার অভাবে অপরাধ প্রমাণ কঠিন হচ্ছে তিন দিনের অভিযানে ৭০ স্থাপনা উচ্ছেদ, খালের ১০ টন বর্জ্য অপসারণ

পৃথিবীর কোন দেশ সীমান্তে তার বন্ধু দেশের নাগরিকদের হত্যা করে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন করে বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশ আছে যে, সীমান্তে তার বন্ধু দেশের নাগরিকদের হত্যা করা হয়?’

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে এ কথা জানতে চান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আপনারা দেখেছেন বর্তমানে যে সমস্ত চুক্তি ও সমঝোতা করা হচ্ছে, এর কোনোটাই দেশের পক্ষে নয়। একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের ছবক দেন যে, আমরা নাকি চুক্তি আর সমঝোতার মাঝে পার্থক্য বুঝি না।

আমাদেরকে তিনি পড়াশোনা করার জন্য পরামর্শ দেন। আমি ওনার কথার উত্তর দিতে চাই না। আমি শুধুমাত্র একটা কথাই বলতে চাই, দেশের সাথে বেঈমানি করবেন না। মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদেরকে ভুল বুঝিয়ে এমন চুক্তি ও সমাঝোতা সই করবেন না-যেগুলোর জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে বা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে ফখরুল বলেন, কী এনেছেন এবার ভারত থেকে? পানির কথা কোথাও নেই, যেটা আছে সেটা ভয়াবহ। সেটা হচ্ছে তিস্তা চুক্তির জন্য ভারতে ভালো প্রস্তাব দিয়েছে, চীনও দিয়েছে। আপনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, দুটোর মধ্যে দেখবো কোনটা ভালো হয়।

আবার এ-ও বলেছেন, ভারত যে প্রস্তাব দিয়েছে-তাদেরকে যদি কাজটা দেই-তাহলে পানির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আমরা তো সব বোকা মানুষ-এই দেশে বাস করি? পক্ষান্তরে আপনি যেটা করেছেন তিস্তার পানি বন্টন সমস্যা, সেটা বাতিল করে দিলেন। অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন সমস্যা, সমস্যা রইল না। এবার বাংলাদেশকে পুরোপুরি ভারতের কাছে জিম্মি করে দিলেন।

সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা করা হয়। গতকালও হত্যা হয়েছে। এই বিষয়ে আপনারা একটা কথাও বলেন না। আমাদের সরাসরি প্রশ্ন আপনাদের কাছে, পৃথিবীতে কোন প্রতিবেশি-বন্ধু দেশ আছে, যারা সীমান্তে গুলি করে বন্ধু দেশের নাগরিকদের হত্যা করে। এই বিষয়গুলোর জবাব দিতে হবে। আপনারা (সরকার) আত্মরক্ষার্থে যেসব কথা বলেন, এসব কথা বলে জনগণকে বোকা বানাতে পারবেন না।

বেগম খালেদা জিয়াকে কেনো বন্দি করে রেখেছেন, সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, কোনো সমস্যা যদি না থাকে তাহলে মুক্তি দেন। সেদিকে তো আপনারা যাচ্ছেন না। আমরা এ-ও বলছি, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই না। আমরা শুধুমাত্র চাই, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। সেই নির্বাচনে যারা আসবে তাদেরকে আমরা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেবো। আপনারা শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য সমস্ত নির্বাচন ব্যবস্থাকে দখল করে নেবেন, সাধারণ মানুষের কথা একবারও চিন্তা করবেন না, সেটা আমরা হতে দেবো না।

তিনি আরও বলেন, আমাকে অনেকে বলেন, আপনারা শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যই আন্দোলন করেন? আমি বলি নো। আমরা গত দুই বছর আন্দোলন করেছি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে, মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যার প্রতিবাদে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে। ব্যাংক লুট ও টাকা পাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।

আমরা এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে আন্দোলন করছি এটা সামগ্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন। কারণ, বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে আলাদা করে দেখা যাবে না। এই আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপির আন্দোলন হওয়া উচিত নয়। এই আন্দোলন সমগ্র দেশের মানুষের।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের যাত্রা শুরু, এটা চলবে-যতক্ষণ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে জনগণের মাঝে ফিরে না আসেন। খালেদা জিয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নারী নেত্রী। এই নেত্রী যদি ওয়ান-ইলেভেনে আপস করতেন, তাহলে তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী থাকতেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের সাথে যত চুক্তি করেছে সব চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী। শুধুমাত্র তাই নয়, এই চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। গণতন্ত্রের প্রশ্নের এই সরকারকে আর ছাড় দেওয়া যাবে না। এই আন্দোলন শুধুমাত্র নয়াপল্টনে নয়, সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও ফোরামের সদস্য সচিব এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা শিরীন সুলতানা, সরাফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com