পেশাগত দিক থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকরা পরস্পরের পরিপূরক ও বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ডিএমপির কার্যক্রম সাংবাদিকরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ বা নিরীক্ষণ করেন। পুলিশ-সাংবাদিক পরস্পরের পরিপূরক, পরস্পরের বন্ধু।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ডিএমপি সদরদপ্তরে অপরাধবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডিএমপি কমিশনার ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ক্র্যাব ও ডিএমপির সম্পর্ক অনেক ভালো। ক্র্যাবের সব কার্যক্রমের সঙ্গে ডিএমপির যতটা সম্পৃক্ততা থাকে অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে ততটা থাকে না। গত ২৮ অক্টোবরও পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২৭-২৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহত সাংবাদিকদের আমি ব্যক্তিগতভাবে খোঁজখবর নিয়েছি।
তিনি বলেন, অনেক সময় কোনো ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্যের জন্য জনগণের কাছে পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়। পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি বা যোগাযোগের কিছু ঘাটতি দেখা দেয়। তবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আপস না করার কথা বলেন তিনি। এ ধরনের সংবাদ পুলিশের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং উৎকর্ষতাকে শাণিত করতে সহায়তা করে বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার।
সাক্ষাৎকালে নতুন কমিটি ডিএমপি কমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ডিএমপি কমিশনারও নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক দেন।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সহ-সভাপতি শাহীন আবুদল বারী, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দিপন দেওয়ান, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, কল্যাণ সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আলী আজম, মো. আবু দাউদ খান ও শেখ কালিমউল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ