ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম বলেছেন, পুলিশ যেন জনগণের আস্থাভাজন হতে পারে, সেজন্য আমাদের আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে জনগণকেও পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ডিএমপির উত্তরখান থানা ভবনে ছাত্র-জনতা ও নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) বলেন, যে পুলিশকে আপনারা মনে প্রাণে ধারণ করেন-আমরা তেমন পুলিশ হওয়ার জন্য কাজ করছি। দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে যা যা করা প্রয়োজন তার সবকিছুই আমরা করছি। থানা হলো পুলিশি সেবার মূল জায়গা যেখান থেকে আপনারা আইনানুগ সেবা পেয়ে থাকেন। তাই থানাকে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য কার্যকর করে গড়ে তুলতে আমরা বিশেষ মনোযোগ দিয়েছি। থানার কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তার দেখভাল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সদা সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করাই পুলিশের কাজ। এই থানা আপনাদেরই, আগামীকাল হয়ত এখনকার পুলিশ বদলী হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের যে কার্যক্রম তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য আপনাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
তরুণ সমাজ সবসময়ের মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ ধরে রাখবে বলে আশা করছি। অপরাধের হাতবদলের সংস্কৃতি যেন ফিরে না আসে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে ভালো কাজে আপনাদের সমর্থন সবসময় অব্যাহত রাখবেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ফলে আমরা ন্যায্য কাজ করার স্বাধীনতা পেয়েছি। এক্ষেত্রে ঐক্য ধরে রেখে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। মাদক, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধের তথ্য আমাদের সরবরাহ করে সহযোগিতা করুন। আব্দুল্লাহপুরের যানজট নিরসনে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও উত্তরখান থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ