বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ধরার সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণার পর থেকেই মারমুখী হয়ে উঠেছে পুলিশ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১১‘শ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিন্তু টার্গেট কিলিংয়ের সাথে জড়িত কেউ কি ধরা পড়েছে? এমন প্রশ্ন এখন বিশ্লেষকদের।
তাদের আশঙ্কা, গ্রেফতার বাণিজ্য ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের হাতিয়ার হিসেবে এ অভিযানকে ব্যবহার করা হতে পরে।
টার্গেট কিলিংয়ের মধ্যে সবশেষ শিকার হয়েছেন পাবনার একটি আশ্রমের সেবক।
গত রোববার চট্টগ্রামে খোদ একজন পুলিশ সুপারের স্ত্রী দিনে দুপুরে একই কায়দায় খুন হবার পর সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দ্প্তর ঘোষণা দেয় শুক্রবার থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে ৭ দিনের সাঁড়াশি অভিযানের।
সেই সাথে পুলিশ সুপারের স্ত্রীর হত্যার ঘটনা বর্বরোচিত ও খুনিদের কাপুরুষ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
আইজিপির এ ঘোষণার পর থেকেই ব্যাপক অভিযানে নামে পুলিশ।
গ্রেফতারের মধ্যে রংপুরে ১৬২, চট্টগ্রামে ১৫৭ এবং সিলেটে ১৫১ জনসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯শতাধিক রয়েছেন।
সমাজ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের প্রশ্ন এমন ঘোষণা দিয়ে আসল অপরাধী ধরার অভিযানের সফলতা নিয়ে। তাদের মতে যেখানে চিহ্নিতই করা যাচ্ছে না, কারা ঘটাচ্ছে একের পরে এক খুনের ঘটনা। সেখানে আগাম ঘোষণা পিছিয়ে দেবে পুলিশকেই।
অভিযান যেন বিরোধীমত দমন করার হাতিয়ার আর পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের কারণ না হয়, সেই আশংকার কথাও জানান তারা।
তারা আরো বলেন, একেকটি খুনের পর রাজনীতির মাঠ থেকে আগাম বক্তব্য, শুরুতেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তদন্তকে। তাই নীরবে মূল হোতাদের গ্রেফতার করে নিজেদের সামর্থের কথা জানান দেয়া উচিত পুলিশের।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ