রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না : ভোক্তার ডিজি ফখরুলের সঙ্গে আব্দুস সালাম পিন্টুর সাক্ষাৎ অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ প্রথমবারের মতো যে পরিবর্তন এলো বিসিএসে, আবেদন শুরু কাল থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক দল ঘোষণা করা হবে বিপিএলের পর্দা উঠছে আগামীকাল আগামীকাল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কারের ঘােষণা দিলেন সিরিয়ার নতুন গোয়েন্দা প্রধান ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ৫ আবারও শাহবাগ অবরোধ করলেন চিকিৎসকরা সচিবালয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় শতাধিক সাংবাদিক একদিনে আরও ৩৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল ভোটার এলাকা পরিবর্তনে ভোগান্তি কমছে নাগরিকদের নড়াইলের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে দ্যুতি ছড়াচ্ছে হলুদের আভা বেক্সিমকো ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনো দায় নেবে না সরকার হিন্দু সে‌জে ডাকা‌তির প্রস্তু‌তিকালে নারীসহ গ্রেপ্তার ১০ অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে ২ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাংলাদেশি দম্পতির মৃত্যু

পুরো সিটি লকডাউন ছাড়া ছোট ছোট পকেট কাজে আসবে না

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

♦সাক্ষাতকারে স্বাচিপ এর সভাপতি ইকবাল আর্সলান

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ছোট ছোট জায়গা লকডাউন করে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না বলে মত দিয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান। তিনি বলেছেন, সুফল পেতে হলে পুরো সিটিকে লকডাউন করতে হবে।

সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন,  আমাদের দুটো বিষয় মনে রাখতে হবে। একটি হলো- সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে এখনও আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছি না। সংক্রমন রোধে যে সকল সামাজিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রয়োজন সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণেরও সহযোগিতা এবং দায় আছে। কিন্তু জনগণ সহযোগিতা করছে না।

কারণ আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবি এবং ভিডিও ফুটেজে দেখতে পাচ্ছি সাধারণ লোক যারা বাইরে ঘুরছেন তারা ঠিকমত মাস্ক ব্যবহার করছেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখাচ্ছে সেগুলো কতটুকু প্রতিপালন করছেন সে ব্যপারেও আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল আর্সলান বলেন, সম্প্রতি লকডাউন সংক্রান্ত যে সকল আলোচনা, সিদ্ধান্ত এবং কার্যক্রম সেগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। প্রশ্ন হলো- কারা করছেন? কিভাবে করছেন? আমরা জানি সংক্রমণ প্রতিরোধে একটি আইন আছে বাংলাদেশে। সিটি করপোরেশনের যে আইন সে আইনের মধ্যে কিন্তু সংক্রমণে সিটি করপোরেশনের দায় এবং দায়িত্ব নির্ধারিত আছে। এখন আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দেখতে পাই যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানে না। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানে না। এমনকি সিটি করপোরেশনও জানে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানে না। তাহলে এই যে সমন্বয়হীনভাবে ছোট ছোট এলাকা বা জোন ভিক্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এটা আমাদের কতটুকু সুরক্ষা নিশ্চিত করবে? এ ব্যপারেও আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, রেড, গ্রীন বা ইয়েলো জোন বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে। কার্যকর করতে হবে বিজ্ঞানভিক্তিক উপায়ে। এখন আমি আমার এক্সিকিউটিভ ক্ষমতা দিয়ে ঘোষণা করে দিলাম তাহলে  তো হবে না। এখানে রেড জোন, গ্রীন জোন এবং ইয়েলো জোন নির্ধারণে একটি প্রক্রিয়ার বিষয় আছে। আরেকটি হচ্ছে এটাকে কার্যকর করার জন্য যে পদ্ধতি আছে সেই দুটো জিনিসই আমার চোখে অনুপস্থিত। আমার মনে হয় এই পরিস্থিতিতে আমরা খুব একটা সুখকর অবস্থায় নেই। আমি মনে করি আমরা আসলে করোনা সংক্রমনের বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে আছি।

ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, আপনারাতো দেখেছেন প্রজ্ঞাপন কোথা থেকে এসেছে। প্রজ্ঞাপন কারা দিয়েছেন। কারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এটাতো আপনাদের কাছে পরিষ্কার।এতো চিকিৎসক কেন আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন? এমন প্রশ্নে স্বাচিপের সভাপতি বলেন, একটি হচ্ছে যে সকল চিকিৎসক কোনো কারণে অসুস্থ তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে প্রথম দিকে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ ছিল সেখানে কিছু ঘাটতি ছিল। প্রথম দিকে হয়তো তারা নিজেরাই করোনা নিরাময়ের জন্য ব্যক্তিগত পর্যায়েই চেষ্টা করেছেন। তারা হাসপাতালে আসতে দেরি করে ফেলেছেন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি কয়েকজন চিকিৎসকের বিষয়ে জানি। সংক্রমণের আরেকটি বিষয় হলো চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন। যারা এগুলো ব্যবহার করছেন বিশেষ করে যখন পরিষ্কার করা হয় সেসময় কতটুকু সতর্কতা তারা অবলম্বন করতে পেরেছেন সেটাও একটি বিষয়। কারণ আমাদের চিকিৎসাসেবা কর্মীদেরকে এ সকল জিনিস ব্যবহারের জন্য যে প্রপার ট্রেনিং প্রয়োজন সেটা দেয়ার সুযোগ হয়নি। বা ছিল না। তখন আমাদের অলরেডি সংক্রমন শুরু হয়ে গেছে। অনলাইনে কিছু প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। এটা আরও ব্যপকভাবে দেয়া উচিৎ ছিল।

এছাড়া আমাদের যে রোগী তারা করোনা সংক্রমন নিয়ে লুকোচুরি করেছেন। তারা প্রকাশ করতে চান না যে তারা করোনা আক্রান্ত। সামাজিক আরও অনেক কারণ আছে। আমরা দেখতে পাই যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার প্রয়াস চালানো হয়েছে। যারা হাসপাতালে চাকরি করেছেন তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। মহল্লা থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা আমাদের সাধারণ মানুষরাই করেছেন। আমি মনে করি এর জন্য যতটুকু না কর্তৃপক্ষ দায়ী তার চেয়ে আমরা বেশি দায়ী। আমরা আমাদের যে কর্তব্য এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বা পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার জায়গাটা সেখানে মারাত্মকভাবে ব্যর্থ হয়েছি। কর্তৃপক্ষের কিছু কিছু জায়গায় যেমন দায় আছে।

একইভাবে জনগণেরও দায় আছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা এখনো তথ্য গোপন করছেন। বিশেষত ঢাকায় জোন কোনো কাজে আসবে কি না? এ বিষয়ে আর্সালান বলেন, এভাবে জোন করলে কাজে আসবে না। ছোট ছোট জায়গা পকেট পকেট করে কোনো কাজে আসবে না। সম্পূর্ণ সিটিকে লকডাউন করে দিতে হবে। ওই সিটির মধ্যে মানুষ চলাচল করবে। কিন্তু সিটির বাইরে থেকে মানুষ এখানে ঢুকবে না। এখান থেকে বাইরে যাবে না। সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

সংক্রমণের নিয়মটা হচ্ছে যেখানে সংক্রমণ আছে সংক্রমণটা সেই স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। সেই সীমাবদ্ধ রাখতে গিয়ে মানুষের স্বাভাবিক যে জীবন-আচার সেই জায়গাটির সুযোগ থাকতে হবে। ছোট ছোট লকডাউন। মহল্লায় মহল্লায় লকডাউন করলেন। এই মহল্লার লোকগুলো একটা সময় বাধ্য হয়ে বের হয়ে আসবে। আমরা যদি বৈশ্বিক দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে সেখানে কিন্তু শহর ভিক্তিক লকডাউন করা হয়েছে। মহল্লা বা ওয়ার্ডভিত্তিক করা হয় নি।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com