কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ বছর আগে বাদ দেওয়া ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহর ইমামতিতে হয়েছে এবারের ঈদের জামাত। সোমবার সকাল ১০টায় ঐতিহ্যবাহী ময়দানে ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের দুইদিন ও একদিন আগেই চলে এসেছেন অনেক মুসল্লি। ঈদের দিন ভোর থেকে রিজার্ভ বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে থাকেন লাখ লাখ মুসল্লি। নামাজ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান।
ঈদের নামাজ উপলক্ষে ঈদগাহের ময়দান এলাকাজুড়ে নেওয়া হয় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহে আসার প্রতিটি রাস্তায় বসানো হয় তল্লাশিচৌকি। মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য। সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। থাকে সেনাসদস্যদের বিশেষ টহল।
মুসল্লিদের বিশ্বাস, বড় জামাতে অংশ নিলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এমন বিশ্বাস থেকে ঈদের দিন মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। কয়েক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন একসঙ্গে। পুরো এলাকা জমসমুদ্রে পরিণত হয়। শোলাকিয়ার ঈদ জামাত সবার কাছে বাড়তি আনন্দ ও তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে ঈদের নামাজ শেষে করা হয় বিশেষ দোয়া। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ