শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন শ্রম আইনে পরিচালনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে মায়ের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেন তারেক রহমান বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র লেবানন-ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত আরও ২১ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

পুরুষের বর্জনীয় কিছু অভ্যাস

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

* বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পুরুষরা অলসতাবশত বা কর্মব্যস্ততার অজুহাতে বা গাফিলতির কারণে ঈমান শিক্ষা করে না এবং ফরজে আইন পরিমাণ ইলম অর্জন করে না। অথচ শরিয়ত এটাকে ফরজ ঘোষণা করেছে।

(তারগিব ওয়াত তারহিব, পৃ. ৩০৪৮)

* অনেক পুরুষ আত্মসমালোচনা না করে অন্যের সমালোচনায় আনন্দ বোধ করে। আর এর দ্বারা যে গিবতের গুনাহ হচ্ছে, সে কথা ভাবতেও চায় না। অথচ গিবত খুবই ভয়াবহ গুনাহ। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৮)

* অনেকে অন্যকে সালাম দিতে চায় না। অন্যদিকে অনেকে সালামের জবাবই দেয় না, আর কেউ সালাম দিলেও ঘাড় নেড়ে বা মনে মনে দেয়। অথচ সালামের উত্তর শুনিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৮৭৮৭)

* অনেক পুরুষ স্ত্রী থেকে নিজের হক ও পাওনা ষোল আনায় পূর্ণ করে, কিন্তু তার ওপর স্ত্রীর যে অধিকার আছে তা আদায় করতে চায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের ওপর জুলুম করে থাকে। এটা অন্যায়। কেননা নারীদের তেমন ন্যায়সংগত অধিকার আছে, যেমন আছে তাদের ওপর পুরুষদের। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৮)

* বহু পুরুষ সাংসারিক কোনো কাজে পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে না। ফলে কারণে-অকারণে পারস্পরিক অন্তঃকলহ বেড়ে যায়। তাই স্ত্রী ও বুদ্ধিমান সন্তানদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯)

* পুরুষরা নিজের মা-বাবার খেদমত স্ত্রীর ওপর জরুরি মনে করে, অথচ মা-বাবার খেদমত করা ছেলের দায়িত্ব, স্ত্রীর দায়িত্ব নয়। স্ত্রীর দায়িত্ব হলো স্বামীর খেদমত করা এবং সুযোগমতো নিজের মা-বাবার খোঁজখবর রাখা। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৮৩)

* অনেক পুরুষ বিয়ের পর নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনকে পর ভাবতে শুরু করে। আর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের আপন মনে করে। এমনটি করা মোটেও ঠিক নয়। কারণ মা-বাবা, ভাই-বোনের ভালোবাসা স্বার্থহীন হয়ে থাকে, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের ভালোবাসা অনেক সময় এমন হয় না। তাই উভয় কুলের আত্মীয়দের তাদের প্রাপ্য হক যথাযথভাবে দেওয়া কর্তব্য। (সহিহ বুখারি, হাদিস :  ৫৯৮৬)

* বহু পুরুষ পুত্রসন্তান হওয়ার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী থাকে, পক্ষান্তরে কন্যাসন্তান হলে স্ত্রীকে দোষারোপ করতে থাকে। অথচ ছেলে বা মেয়ে হওয়া আল্লাহর ইচ্ছাধীন। (সুরা : শুরা, আয়াত : ৪৯, সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৮)

* অনেক পুরুষ স্ত্রীদের অন্ধভক্ত হয়ে থাকে। কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া সব ক্ষেত্রে স্ত্রীর কথাকে প্রাধান্য দিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে দেয়। এমনটি হওয়া মোটেও কাম্য নয়। বরং সব সময় যেকোনো অভিযোগ যাচাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তা না হলে মানুষের সামনে বেকুব সাব্যস্ত হতে হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩০৪)

* উপার্জনের ক্ষেত্রে অনেকে হালাল-হারামের তোয়াক্কা করে না। ন্যায়-অন্যায় যে পথেই পয়সা আসে সেটাই গ্রহণ করে থাকে এবং নিজের উপার্জনের মাধ্যমকেই রিজিকদাতা ভাবে। ফলে তা নষ্ট হলে পেরেশানির সীমা থাকে না। অথচ এগুলো মাধ্যম বা রিজিক পৌঁছানোর পিয়নমাত্র। আসল রিজিকদাতা হলেন মহান রাব্বুল আলামিন। কারো রিজিকের একটা পথ বন্ধ হলে তিনি আরো পথ খুলে দেন। (সুরা : হুদ, আয়াত : ৬)

* অনেক বদমেজাজি পুরুষ সামান্য কারণে স্ত্রীকে মারপিট করে থাকে। এমনকি রাগের মাথায় তিন তালাক দিয়ে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করে না। এজাতীয় পুরুষ কোরআনের নির্দেশ অমান্যকারী। কেননা কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘…আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সত্ভাবে জীবন যাপন করো।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৯)

* অনেক ভবঘুরে স্বামী নিয়মিত সংসারের খোঁজখবর রাখে না। তাদের হক আদায়ের তোয়াক্কা করে না। অনেক মূর্খ মানুষ এটাকে বলে— আল্লাহর ওপর ভরসা করি। এটি ইসলামবিরোধী কথা।

* অনেক ভাই তার বোনদের পাওনা মিরাস আদায় করতে চায় না। অথচ বোনদের পাওনা আদায় করা ভাইদের ওপর ফরজ। আরো দুঃখজনক কথা হলো, অনেক জালিম বাবাও নিজের মেয়েকে বঞ্চিত করতে বা কম দিতে চেষ্টা করে থাকে। অথচ হাদিস অনুযায়ী এটা সরাসরি জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২১১৩৯)

* স্বামীরা স্ত্রীদের দায়িত্ব তথা সংসার সামলানোকে ছোট নজরে দেখে এবং এটা স্ত্রীর দায়িত্ব মনে করে। তাই এটার কোনো মূল্যায়নও করে না। এবং কখনোই স্ত্রীর রান্নাবান্নার এবং অন্য ভালো কাজের প্রশংসা করতে চায় না। এতে স্ত্রীরা সাংসারিক কাজে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। অথচ স্বামীর সামান্য প্রশংসায় স্ত্রী হাজারো কষ্টের কাজ হাসিমুখে আঞ্জাম দিতে পারে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৫)

* অনেকে বিয়ের পর স্ত্রীপক্ষ থেকে যৌতুক গ্রহণ করে। কেউ কেউ যৌতুকটিই ভিন্ন নামে ভিন্নভাবে গ্রহণ করে। অথচ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বা কৌশল করে কারো থেকে ধনসম্পদ হাসিল করা হারাম। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৮, মুসনাদে অহমাদ, হাদিস : ২১১৩৯)

* পুরুষরা সাধারণত বিয়ের জন্য পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দৈহিক সৌন্দর্য ও বিত্ত-বৈভবকে দ্বিনদারির ওপরে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অথচ হাদিসে দ্বিনদারিকে সৌন্দর্য ও সম্পদের ওপর অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে এবং এরই মধ্যে কামিয়াবি নিহিত আছে বলা হয়েছে। এর ব্যতিক্রম করলে সুখ-শান্তি তো হয়ই না, বরং দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস হতে পারে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০৯০)

* অনেক আধুনিক শিক্ষিত লোক কোরআন-হাদিসের বাংলা অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে নিজেকে ইসলামী চিন্তাবিদ মনে করে। এমনকি হাদিস ও ফিকহের অনেক বিষয়ে দ্বিনের বিশেষজ্ঞ তথা হক্কানি আলেমদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। এমন লোকদের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর ধমকি এসেছে। তাদের উচিত হক্কানি উলামাদের সমালোচনা ছেড়ে দিয়ে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৬০)

* সাধারণ মানুষ ব্যবসা, লেনদেন, বিবাহ, তালাক ইত্যাদির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এর হুকুম-আহকাম সম্পর্কে উলামাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে না। যখন কঠিন কোনো সমস্যায় নিপতিত হয়, তখন আলেমদের কাছে ছুটে আসে। অথচ আগেই যদি সে আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিত, তাহলে হয়তো এই সমস্যার সম্মুখীন হতো না। অথবা সমাধান দেওয়া সহজ হতো।

* ছেলেরা মনে করে পর্দা করা মেয়েদের দায়িত্ব। আর তাদের দায়িত্ব হলো রাস্তায় বের হয়ে মেয়েদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকা! অথচ কোরআনে পর্দার আলোচনায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আগে পুরুষদের সম্বোধন করে বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত করো…।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৩০)

* যুবকদের মধ্যে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বয়স কমানো আর বৃদ্ধদের মধ্যে বয়স বাড়ানোর বেশ প্রবণতা লক্ষ করা যায়। উভয়টি ধোঁকা ও প্রতারণা। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২১৬২)

* অনেকে শেষ জীবনে নিজের ওয়ারিশদের জন্য কোনো বিশেষ সম্পদের অসিয়ত করে থাকে। অথচ ওয়ারিশদের জন্য অসিয়ত করা জায়েজ নেই। আবার অনেকে জীবদ্দশায় সম্পদ বণ্টন করতে গিয়ে শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া সন্তানদের মধ্যে কম করে বণ্টন করে থাকে। এটি অনুচিত। এতে বান্দার হক নষ্ট করা হয়। জীবদ্দশায় সম্পদ বণ্টন করতে চাইলে ছেলে-মেয়ে সবাইকে নিজ নিজ প্রাপ্য অনুযায়ী দেওয়া উচিত। (সুনানে দারাকুতনি : ৪/৩৭, ইমদাদুল আহকাম : ৪/৫৫, ৫৮৬)

বাংলা৭১নিউজ/এইচএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com