বাংলা৭১নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক: পাট অধ্যাদেশ ১৯৬২ রহিত করে নতুন আইন প্রণয়ের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার জাতীয়
সংসদে পাট বিল-২০১৭ পাস করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম
বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলটির উপর
বিরোধী দলীয় সদস্যদের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব
কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে
বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের জবাবে
প্রতিমন্ত্রী সংসদে বলেন, নির্বাচনী প্রমিতশ্রুতি অনুযায়ী, পাট ও পাট
খাতের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাটকে কৃষি পণ্যের স্বীকৃতি
দিয়ে চাষীদের নানা ধরণের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা
হয়েছে। বিশ্বের ৩০টি দেশে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী করা হচ্ছে। সরকারের এই
পদক্ষেপের ফলে পাটের সেই সোনালী অতীত আবারো ফিরে আসবে বলে তিনি আশা
প্রকাশ করেন।
পাস হওয়া বিলে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও প্রসার, গবেষণা ও পাট চাষে উদ্বুদ্ধ
করতে সরকারের ক্ষমতা, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে
সরকারের ক্ষমতা, লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স বাতিল, আপিল করা, আপিল বাতিল, মূল্য
নির্ধারণ, বেলিং চার্জ, এজেন্ট ও ব্রোকার, প্রেস, গুদাম ইত্যাদি অধিগ্রহণ
করে বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর উন্নয়ন ফি আরোপ, উন্নয়ন তহবিল
গঠন, চুক্তি নিবন্ধন, বিক্রয় নির্দেশ ও নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা, পাটখড়ি থেকে
বাণিজ্যক পণ্য উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা, চুক্তি
প্রতিপালন নিশ্চিত করার ক্ষমতা, অপরাধ ও দন্ডের বিধানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান
রাখা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএইচ