বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: শেষ ওভারের উত্তেজনায় পুরণ হলো না জয়ের স্বপ্ন। বাংলাদেশের দেয়া ১৬৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলের পক্ষে রোহিত শর্মা ৪২ বল খেলে ৫৬ রান করেন। ২৮ রান করেন মনিশ পান্ডে। ২৪ রান করেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল হোসেন ২টি, মোস্তাফিজুর রহমান ১টি, নাজমুল ইসলাম অপু ১টি করে উইকেট নেন।
ইনিংসের শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৫। ১৭তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে এসে এক রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। রুবেল হোসেনের করা ১৮তম ওভারে ২২ রান দেন রুবেল হোসেন।
ভারত ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ হন শিখর ধাওয়ান। সাত বল খেলে দশ রান করেন তিনি। দলীয় ৩২ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রুবেল হোসেনের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন সুরেশ রায়না। তিন বল খেলে শূন্য রান করেন তিনি।
ইনিংসের দশম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ হন লোকেশ রাহুল। ১৪ বল খেলে ২৪ রান করেন তিনি। ১৪তম ওভারে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ হন রোহিত শর্মা। ৪২ বল খেলে ৫৬ রান করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টাইগার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫০ বল খেলে ৭৭ রান করেন তিনি। এই রান করার পথে সাতটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকান তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি।
১৮তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ হন মনিশ পান্ডে। ২৭ বল খেলে ২৮ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে সৌম্য সরকারের বলে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ হন বিজয় সঙ্কর।
এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬ বল খেলে ২১ রান করেন। সাত বল খেলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যুজবেন্দ্র চাহাল চার ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ওয়াশিংটন সুন্দর ১টি ও জয়দেব উনাদকাত ২টি করে উইকেট নেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস